বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত স্বল্প জীবন কালীন উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রিধান-৮৭ চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়ে সফলতা অর্জন করেছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার ২ নং ডাহিয়া ইউনিয়নের পিপলশন গ্রামের কৃষক তাজরুল ইসলাম।
তাজরুল ইসলাম চলতি আমন মৌসুমে ১৫ বিঘা জমিতে ব্রিধান-৮৭ চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। প্রতি বিঘায় তার ফলন হয়েছে ২৫ থেকে ২৬ মণ। অল্প খরচে ভালো ফলন পেয়ে খুশি তাজরুল ইসলাম।
তাজরুলের এমন সফলতা দেখে এ ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেক স্থানীয় কৃষক।
কৃষক তাজরুল ইসলাম জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমি আমার ১৫ বিঘা জমির উপর প্রর্দশণী পেয়েছিলাম। এ ধান চাষে অন্য ধানের তুলনায় সার ও কীটনাশক খরচ কম লেগেছে। ফলনও পেয়েছি বেশি। তাতে আমি লাভবান হতে পেরেছি । নতুন জাতের এ ধানের বীজ নেওয়ার জন্য স্থানীয় কৃষকরা এখন আমার বাড়িতে ভীড় করছে। খুব কম সময়ে ফসল ঘরে তুলতে পারায় আমি এখন ওই জমিতে সরিষার চাষ করার সুযোগ পাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানাযায়, ২০১৮ সালে ব্রিধান-৮৭ নামে নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানীরা। এ ধানের বৈশিষ্ট্য হলো, ধানে চিটা ও পোকা মাকড়ের আক্রমন কম। চাল চিকন ও সাদা বর্ণের হওয়ায় বাজারে এ ধানের চালের চাহিদা বেশি।
এ ছাড়া এ ধানের জীবনকাল ১২৫ দিন থেকে ১৩০ দিন। অর্থাৎ বীজতলা থেকে শুরু করে ১২৫ থেকে ১৩০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তুলা যায়। যার কারনে কৃষক ইচ্ছে করলে ওই জমিতে অন্য ফসল চাষ করার সুযোগ পায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ মোঃ সেলিম রেজা বলেন, স্বল্প জীবনকালীন নতুন জাতের এ ধান চাষে কৃষক অল্প দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তুলে ওই জমিতে আবার সরিষা, আলু সহ যে কোন রবি শস্য চাষ করতে পারবেন। কৃষি প্রধান এই অঞ্চলে দুই ফসলী জমিতে কৃষকরা যাতে তিনবার ফসল ফলাতে পারে সে লক্ষ্য নিয়ে উপজেলা কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি আগামীতে আমন মৌসুমে তাজরুলের মত অনেকেই এ ধান চাষ করে লাভবান হবেন।