শান্তি রক্ষায় যৌথ কাজ করবে বিজিবি-বিজিপি


অনলাইন ডেস্কঃ , আপডেট করা হয়েছে : 30-11-2022

শান্তি রক্ষায় যৌথ কাজ করবে বিজিবি-বিজিপি

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে শান্তি রক্ষায় দুই দেশের মধ্যে তথ্য-যোগাযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে সীমান্তে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিরসন, আকাশ সীমা লঙ্ঘন, আন্তরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে পারস্পরিক             আস্থা বাড়ানোর বিভিন্ন উপায় নিয়ে অত্যন্ত কার্যকর ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরে শহীদ ক্যাপ্টেন আশরাফ হলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ২৩ থেকে ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে অনুষ্ঠিত অষ্টম সীমান্ত সম্মেলন পরবর্তী এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। চার দিনব্যাপী মিয়ানমারের রাজধানী নেপিতোতে এই সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এবং ডেপুটি চিফ অব মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের পুলিশ মেজর জেনারেল অং নেইং ঘু-এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নেন। সীমান্ত সম্মেলনে আলোচনার বিষয়ে মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ বলেন, এতে আন্তসীমান্ত অপরাধী চক্রের কর্মকান্ড প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ অন্যান্য মাদক ও মানব পাচার রোধের বিষয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে সীমান্তের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, সীমান্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান, যৌথ টহল পরিচালনা, রিজিয়ন ও ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত সমন্বয় সভা, পতাকা বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে কথা হয়। এ ছাড়াও সীমান্তে আটককৃত, সাজাভোগকৃত উভয় দেশের নাগরিকদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) তাদের মূল আবাসভূমিতে প্রত্যাবর্তনের বিষয়েও আলোচনা হয়। বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, নিয়ম ভেঙে আকাসসীমা অতিক্রমের বিষয়টি আমরা বলেছি। যদি এমনটা ঘটে তাহলে সীমান্ত এলাকায় স্থানীয়ভাবে শঙ্কা বা সংশয় তৈরি হয়। এটা সীমান্তে শান্তির জন্য বাধা। যদি ড্রোন, হেলিকপ্টার উড্ডয়নের প্রয়োজন হয়, যেন আমাদের তা অবগত করা হয়। আমরা যেন লক্ষ্য রাখতে পারি সীমান্ত অতিক্রমের বিষয় ঘটে কি না। তারা (বিজিপি) আশ্বস্ত করেছেন তথ্য শেয়ার করবেন এবং এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে ঘটবে না। সীমান্তে স্থলমাইন রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, স্থলমাইন বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি হতাহতের শিকার হয়েছেন। তাদের (মিয়ানমারের) নাগরিকও হতাহতের শিকার হয়েছেন। সীমান্তে কাঁটাতারে ইলেকট্রিফিকেশন করা হয়েছে। ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ অন্যান্য মাদক ও মানব পাচাররোধে বিজিবির সফলতার বিষয়ে তিনি বলেন, মাদক চোরাচালানে বিজিবি অনেকটাই সফল। তবে এখনো শতভাগ সফল হতে পারেনি।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে ইতিবাচক বলা হলেও সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, একটা বিষয় নিয়ে যখন আলোচনা হয়, তখন যিনি বলেন তিনি গুরুত্ব সহকারে বলেন। যিনি বিষয়টি শুনছেন তিনিও কেমনভাবে নিচ্ছেন সেটি বোঝা যায়। আমরা যেসব বিষয় বলেছি। তারা প্রত্যেকটি জায়গায় অত্যন্ত ধৈর্যসহকারে শুনেছেন। এসব গ্রহণ করে ইতিবাচক মনোভাব দেখাতে আমরা দেখেছি এবং তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের বিষয়টা একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছে তারা এ বিষয়টা নিয়ে কাজ করছেন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]