সব ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে, আমরা কি চেয়ে চেয়ে দেখব: হাইকোর্ট


অনলাইন ডেস্কঃ , আপডেট করা হয়েছে : 30-11-2022

সব ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে, আমরা কি চেয়ে চেয়ে দেখব: হাইকোর্ট

বেসিক ব্যাংকের দুই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে আসামি পক্ষের আইনজীবী আবুল হোসেন আদালতে বলেছেন, পাঁচ বছর পার হয়ে গেলেও দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) এ মামলায় চার্জশিট দিচ্ছে না। বিচারও শেষ হচ্ছে না। আমার মক্কেল মাত্র একজন কেরানি (কর্মকর্তা) হিসেবে কাজ করেছেন। তার অপরাধ কী দুদক সেটিও সুনির্দিষ্ট করতে পারেনি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলেন, মনে হয় নাটক দেখছি। নাটক দেখে হাততালি ছাড়া আর তো কিছু দেওয়ার নেই। হয় হাততালি দিতে হবে, না হলে বসে থাকতে হবে। আদালত বলেন, জজ, আইনজীবী আর যে লাখ লাখ চোখ চেয়ে আছে। কেউ কোনো কাজ করতে পারছে না। কেন সবাই নীরব। সব ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে, আমরা কি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখব?

এ পর্যায়ে কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতে বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য সময় চেয়ে প্রার্থনা করেন। বেসিক ব্যাংকের অর্থ পাচারের মামলার এই আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন প্রশ্নে দেওয়া রুলের শুনানির সময় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন। আদালতে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম আবুল হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

প্রসঙ্গত, বেসিক ব্যাংকের দুই হাজার ৭৭ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আলামত চেয়ে মালয়েশিয়ায় অনুরোধ পাঠিয়েছে দুদক- এই তথ্য জানিয়ে সোমবার হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে কমিশন। এ ঘটনায় করা ৫৬ মামলার মধ্যে ১২ মামলার আসামি, ব্যাংকটির সাবেক কর্মকর্তা মোহম্মদ আলীর জামিন শুনানিতে গত ৮ নভেম্বর হালনাগাদ তথ্য চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসিক ব্যাংক লিমিডেটের বিভিন্ন শাখা থেকে দুই হাজার ৭৭ কোটি ৩৪ লাখ দুই হাজার ৯৯১ টাকা, যা সুদসহ দুই হাজার ৫৯০ কোটি ৪৯ লাখ ৯১ হাজার ৪৫৩ টাকা আত্মসাতের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রাথমিক অনুসন্ধান করে মোট ৫৬টি মামলা করেছে।

এতে বলা হয়, মামলার তদন্ত দীর্ঘায়িত হওয়ার অন্যতম কারণ হলো আত্মসাৎ করা অর্থ সম্পূর্ণরূপে নগদে উত্তোলনের মাধ্যমে টাকার অবস্থান গোপন করা হয়েছে। মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের শনাক্ত করা ও তাদের জবানবন্দি গ্রহণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সব সাক্ষীর কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়াও বেশ জটিল। মামলার প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহের জন্য মালয়েশিয়ায় এমএলএআর করা হয়েছে। সে সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও আলামত এখনও পাওয়া যায়নি। আত্মসাৎ করা অর্থের মধ্যে ১১৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা উদ্ধার বা ব্যাংকে জমা করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]