ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাবার সাথে অভিমান করে সানজিদা (১৬) নামের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে উপজেলা পৌর সদরের হুগলাডাঙ্গী সদরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
নিহত সানজিদা এ বছর ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সানজিদা এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে পারেনি, যা নিয়ে পরিবারের সাথে মনোমালিন্য চলছিল ফল ঘোষণার পর থেকেই। পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করলে তাকে ল্যাপটপ কিনে দেয়ার কথা ছিল সানজিদার সৌদি প্রবাসী বাবা শেখ শাহ আলমের। কিন্তু ফল ভাল না করায় ল্যাপটপ দেননি তিনি। এসব নিয়ে মানসিক কষ্টে ছিল সানজিদা। গত মঙ্গলবার রাতে বাবা শাহ আলমের সাথে মুঠোফোনে কথা হয় সানজিদার। এ সময় বাবা শাহ আলম পরীক্ষায় খারাপ করা, ছোট বোনকে শাসন না করা, ছোটবোনের মেধা ভালো কিন্তু সানজিদার মেধা খারাপ ইত্যাদি বলে সানজিদাকে বকাঝকা করেন বলে জানা গেছে।
এরপর, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে সানজিদা আলাদা ঘরে তার দাদির সাথে ঘুমাতে যায়। সানজিদার দাদি ভোরে নামায পড়তে উঠে পাশে দেখতে না পেয়ে লাইট অন করলে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় সানজিদাকে দেখতে পান। তার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত হয়ে মরদেহ নামিয়ে আনে।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ সকাল সাড়ে ১১টায় লাশ উদ্ধার করেন। ভাঙ্গা থানার এস আই আবদুস সালাম বলেন, সানজিদারা দুই বোন। তার প্রবাসী বাবা পড়ালেখা নিয়ে রাগ করায় এবং পরীক্ষায় খারাপ করায় ল্যাপটপ কিনে না দেয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে বলে জেনেছি।
অপর এক কর্মকর্তা এসআই আবদুল্লাহ জানান, থানায় মামলা হয়েছে। তবে পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনের কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের দাবিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজশাহীর সময় /এএইচ