পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিয়ের প্রলোভনে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় প্রেমিক ও সহযোগী হিসেবে তার বোনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে প্রেমিক রিদয় ব্যাপারীকে (২০) এবং শুক্রবার সকালে তার বোনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উপজেলার ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়নের কালাইয়া গ্রামের বাসিন্দা রিদয় ব্যাপারী। তিনি ইন্দুরকানী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রায়ই ওই স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন রিদয়। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রিদয় বিয়ের প্রলোভনে গত ৫ মে তার ভগ্নিপতির বাড়িতে ডেকে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তী সময়ে ভিডিওর ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে স্কুলছাত্রী শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় ১৪ ও ২০ নভেম্বর ছাত্রীর নামে ফেসবুক আইডি খুলে ধর্ষণের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগীর বাবা বৃহস্পতিবার রাতে বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে কলেজছাত্রসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক জানান, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত রিদয় ব্যাপারী ও সহযোগী তার বোন শিখা সরকারকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।