৯ মাসে নির্যাতনের শিকার ৩ সহস্রাধিক নারী-শিশু


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 24-11-2022

৯ মাসে নির্যাতনের শিকার ৩ সহস্রাধিক নারী-শিশু

৯ মাসে নির্যাতনের শিকার ৩ সহস্রাধিক নারী-শিশু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২২

চলতি বছরের ৯ মাসে ৩ হাজার ৬৭ জন নারী ও শিশু নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪৩ জন ধর্ষণ ও ২০৫ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩০ জনকে আর ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৮ জন। বাকিরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ' নারী ও কন্যা নির্যাতন বন্ধ করি, নতুন সমাজ নির্মাণ করি' স্লোগানকে ধারণ করে, আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (২৫ নভেম্বর - ১০ ডিসেম্বর) ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০২২ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন।  

সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এ সময় 'নারী ও কন্যার প্রতি যৌন সহিংসতা (ধর্ষণ) ও  তরুণ প্রজন্মের সম্পৃক্ততার উপর' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি ডিপার্টমেন্টের যৌথ উদ্যোগে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সমীক্ষা, গবেষণার তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার চিত্র অত্যন্ত উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ১৩টি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার চিত্র প্রতি মাসে গণমাধ্যমে তুলে ধরে। দেখা যায়, ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে।

এতে আরো হয়েছে, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৯.১ শতাংশ উত্তর দাতা বলেছেন গত বছরে রাস্তায় পিছু নেওয়া এবং অশালীন মন্তব্যের শিকার হওয়ার মতো যৌন হয়রানির ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। এতে দেখা গেছে যে নারীরা এভাবেই বেশি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। ৬০.৫ শতাংশ উত্তর দাতা বলেছেন যে তাদের অনুপযুক্ত ভাবে স্পর্শ বা লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ শতাংশ উত্তর দাতা বলেছেন তারা ইন্টিমেট পার্টনার দ্বারা যৌন সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন।

রাস্তাঘাট ও পাবলিক প্লেস নিরাপদ নয় জানিয়ে ৩৮৪ জন উত্তর দাতার মধ্যে ১৭৭ জন বলেছেন, তারা এসব স্থানে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।

রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবার এ তিনটি প্রতিষ্ঠানই ধর্ষণের অবদানকারী শক্তি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, আর্থ সামাজিক পটভূমি এবং অপরাধীদের পারিবারিক অবস্থা,  অপরাধীদের অতীতে অন্যান্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং উপযুক্ত শাস্তির অনুপস্থিতির কারণে তরুণরা যৌন সহিংসতায় সম্পৃক্ত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, অনেক সময় দেখা যায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ট্রান্সফার হয়ে যায় বা অনেক বেশি কাজের চাপ থাকার কারণে তারা তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারেন না। যার ফলে বিচার অনেকটা পিছিয়ে যায়। ধর্ষণের ক্ষেত্রে ভিকটিমরা যত দিন পর্যন্ত বিচার না পায় সে এক প্রকার ট্রোমার মধ্যে থাকে। তাই এসব সমস্যা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু প্রমুখ।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]