মাদকের নেশা ছাড়াতে ছেলেকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে (রিহ্যাব সেন্টার) পাঠিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পরদিন মাদকাসক্ত অবস্থায়ই নির্মমভাবে পরিবারের সব সদস্যকে কুপিয়ে-গলা কেটে হত্যা করেছে ওই যুবক। শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নৃশংস এমন ঘটনার সাক্ষী হলো ভারতের রাজধানী দিল্লি।
কেশব নামের ২৫ বছর বয়সী ওই যুবক রিহ্যাব সেন্টার থেকে বাড়িতে ফিরেই তার বাবা-মা, বোন এবং দাদিকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মাদকের নেশা ছাড়াতে কেশবকে একটি রিহ্যাব সেন্টারে রাখা হয়েছিল। সোমবার (২১ নভেম্বর) রিহ্যাব থেকে বাড়ি ফেরে সে। এরপর মঙ্গলবার রাতে মাদক কেনার জন্য টাকা চায় কেশব, যা দিতে অস্বীকৃতি জানান তার বাবা-মা।
সংবাদমাধ্যমকে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মাদকের টাকা না দেয়া নিয়ে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। সেই ক্ষোভ থেকে নেশার ঘোরেই একে একে বাবা-মা, বোন ও দাদিকে ধারালো কিছু দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে কেশব।
পুলিশ জানিয়েছে, গুরগাঁওয়ে চাকরি করত কেশব। সম্প্রতি তার চাকরি চলে গেলে বেকার হয়ে নেশায় জড়িয়ে পড়ে। খুনের সময়ও সে নেশাগ্রস্ত ছিল। ওই অবস্থায় দাদি দিওয়ানা দেবি (৭৫), বাবা দিনেশ (৫০), মা দর্শনা ও বোন উর্বশীকে (১৮) নৃশংসভাবে হত্যা করে সে। দিনেশ ও দর্শনার মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে বাথরুম থেকে। অন্য একটি ঘরে ছিল দিওয়ানা দেবি ও উর্বশীর মরদেহ। হত্যাকাণ্ডের পর পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত। তবে একই ভবনে থাকা আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
হত্যার প্রকৃত কারণ জানতে কেশবকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নেশার টাকা চেয়ে না পাওয়াতেই কি গোটা পরিবারকে খুন করেছে সে, নাকি এর পেছনে অন্য কারণ রয়েছে–তা খতিয়ে দেখছে পুলিশের তদন্তকারী দল।