নামাজ ইসলামের মূল রুকন বা স্তম্ভ। ঈমানের পরেই নামাজের স্থান। মানুষের জন্য নামাজ ফরজ ইবাদাত। যা আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য আবশ্যক করে দিয়েছেন। নামাজ মানুষের জন্য দৈনন্দিন পালনীয় একটি ফরজ ইবাদাত হলেও সমাজ জীবনে রয়েছে এর সুদূর প্রসারী প্রভাব ও উপকারিতা। যা তুলে ধরা হলো-
অশ্লীলতা ও অন্যায় দূরকারী
নামাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ব্যক্তি ও সমাজ জীবন থেকে অশ্লীল ও অন্যায় বিদুরিত হয়ে সামাজিক শৃঙ্খলার উন্নতি হয়। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’
সাম্য ও ঐক্য প্রতিষ্ঠাকারী
জামাআতে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে সমাজের উঁচু-নীচু, ধনি-নির্ধন দূরত্ব হ্রাস করে সাম্য প্রতিষ্ঠা করে। পাশাপাশি নামাজের মাধ্যমেই মুসলিম সমাজের ঐক্য গড়ে ওঠে।
দায়িত্ববোধ ও সময় সচেতনকারী
প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে সকল মানুষ সময়জ্ঞান ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়।
নেতৃত্ব ও আনুগত্যবোধ
জামাআতে নামাজ আদায়কারী সমাজের প্রত্যেক মানুষের মাঝে ইমাম ও মুক্তাদির আনুগত্যবোধ জাগ্রত হয়।
পারস্পরিক সহযোগিতা সৃষ্টি
নামাজের জন্য মসজিদ তৈরি ও তার রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমেই সমাজের প্রতি মানুষের সহযোগিতার গুণ সৃষ্টি হয়।
নিষ্ঠা ও একাগ্রতা তৈরি
নিয়মিত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মানুষের মাজে নিষ্ঠা ও একাগ্রতা তৈরি হয়।
উত্তম চরিত্রের অধিকারী
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মানুষের খারাপ গুণগুলো দূরিভূত হয়ে ভালো গুণের অধিকারী হয়, যা সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে কাজে লাগে।
আত্মনিয়ন্ত্রণকারী
নিয়মিত নামাজ আদায় ও নামাজের নিয়ম-পদ্ধতির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বেপরোয়া ও উচ্ছৃঙ্খল গুণ দূর হয়। সমাজের প্রতিটি কাজে ধীরস্থিরভাবে নিয়ন্ত্রিত কাজ কাজ করার সুযোগ হয়।
পরিশেষে...
সমাজ জীবনে নামাজের বহু উপকারিতা রয়েছে। সুতরাং নিয়মিত নামাজ আদায় করলে মানুষের মাঝে এ গুরুত্বপূর্ণ গুণগুলো সমাবেশ ঘটবে। যা সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আল্লাহ তাআলা সমাজের প্রতিটি মানুষকে সুন্দর আবহে নামাজ আদায় এবং এ গুণগুলো অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।