মৃতব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার পর নতুন কাপড় দিয়ে কাফন পররো ফরজে কিফায়া। কাফনের কাপড় হতে হবে সাদা। মানুষের মৃত্যুর পর পরই দেরি না করে আগে গোসল দেওয়া উত্তম। গোসলের পরই মৃতব্যক্তিকে কাফন পরিয়ে দাফন করতে হয়। কিন্তু কিভাবে?
১. কবরকে গভীর ও প্রশস্ত এবং সুন্দর করা আবশ্যক।
২. কবর লম্বায় মৃতব্যক্তির উচ্চতা থেকে একটু বেশি হবে।
৩. কবরের গভীরতা হবে মৃতব্যক্তি যতটুকু লম্বা, তার অর্ধেক।
৪. কবর করা শেষ হলে মৃতব্যক্তিকে রাখার জায়গা ক্বিলার দিকে ঢাল ও গর্ত করা। ইহাকে লাহাদ (বগলি) কবর বলা হয়। লাহাদ বা বগলি কবর সোজা কবরের চাইতে উত্তম।
৫. কবর করার পর মৃতব্যক্তিকে কবরে রাখার সময়- بِسْمِ اللهِ وَ عَلَى مِلَّةِ رَسُوْلِ الله ‘বিসমিল্লাহি ওয়া আলা মিল্লাতি রাসুলিল্লাহ’ দোয়া পড়া। মিল্লাতি-এর স্থলে ‘সুন্নাতি’ বললেও চলবে।
৬. মৃতব্যক্তিকে কবরে রেখে ডান দিকে ক্বিবলামুখী করে দেওয়া সুন্নত।
৭. যারা মৃতব্যক্তিকে কবরে নামাবে তাদের ক্বিবলামুখী হয়ে দাঁড়ানো।
৮. মৃতব্যক্তি নারী হলে পর্দার সঙ্গে কবরে নামানো মুস্তাহাব। শরীর প্রকাশ হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকলে পর্দা করা ওয়াজিব।
৯. মৃতব্যক্তিকে কবরে রাখার পর দাফনের শুরুতে মাথার দিক থেকে মাটি দেয়া মুস্তাহাব। দুই হাতে মাটি কবরে রাখা। মাটি রাখার সময়; প্রথম বার বলবে- মিনহা খালাক্বনাকুম; দ্বিতীয় বার বলবে- ওয়া ফিহা নুয়িদুকুম; তৃতীয় বার বলবে- ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তারাতান উখরা।’
১০. উটের পিঠের মতো দুই দিক ঢালু করে মাঝখানে আধা হাত পরিমাণ উঁচু করা।
১১. মাটি দেয়ার পর পানি ছিটানো মুস্তাহাব।
১২. দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর কিছুক্ষণ কবরের পাশে থেকে মৃতের জন্য দোয়া করা মুস্তাহাব।
১৩. এক কবরে একজনকেই দাফন করা উত্তম। প্রয়োজনে একাধিক দাফনও করা যেতে পারে।
১৪. সমুদ্র ভ্রমণে কারো মৃত্যু হলে; সেখান থেকে স্থলভূমিতে নিয়ে আসতে দেরি হওয়ায় লাশ বিকৃত হওয়ার ভয় থাকলে, গোসল দিয়ে জানাযার পর সমুদ্রে ছেড়ে দিতে হবে। তবে স্থলভূমিতে কবরস্থ করা উত্তম।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মৃতব্যক্তির দাফন কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।