সিলেটের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে আট হাজার মোটরসাইকেল বহর, কাঠ ও বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ যোগ দিয়েছেন। আগামীকাল শনিবার (১৯ নভেম্বর) গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সিলেট নগরীর চৌহাট্টার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে গত শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা বিশাল বহর নিয়ে শোডাউন ও প্রচার মিছিল করে সড়ক পথে সমাবেশ মাঠে যোগ দেন।
লাখো মানুষের বহর গণসমাবেশস্থলে মিছিল নিয়ে নানা স্লোগান দিয়ে প্রবেশ করেছে। গণসমাবেশে শুধু বিএনপি নেতাকর্মীরাই নন, সর্বস্তরের, সব শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দিচ্ছেন। এর কারণ, সাধারণ মানুষ এখন বন্দিদশায় আছেন বলে নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন।
কেউ হেঁটে, কেউ ভ্যানে, কেউ রিকশায় চড়ে আবার কেউ মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন। সুনামগঞ্জ ও সিলেটের আশপাশের সড়কে এখন মানুষ আর মানুষ। খণ্ড খণ্ড মিছিল, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস বহরে নেতাকর্মীদের হাতে গাছের ডাল, কাঠ এবং বাঁশ দিয়ে বানানো লাঠির উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এছাড়া বিভিন্ন মিছিলে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকায় ব্যবহার করা হয় লম্বা লাঠি ও বাঁশের কঞ্চি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল হকের নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটের সড়ক পথে আট হাজার মোটরসাইকেল ও কয়েক হাজার নেতাকমী নিয়ে বিশাল মিছিল নিয়ে সিলেটের গণসমাবেশে যোগদান করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী নুর উদ্দিন জানান, গত দুই দিনের চেয়ে আজ সকালে বেশি লোক আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে চলে যাচ্ছেন। বেলা যত বাড়ছে, বিএনপির সমাবেশস্থলে লোকজন ততই বাড়ছে। সকাল থেকেই আশপাশের সড়কগুলো বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনে ভর্তি লক্ষ্য করা গেছে।