তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এখনই বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপ শুরু করা দরকার।
এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেন, সরকারের একার পক্ষে নির্বাচনের সব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বিরোধী দলগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। আলোচনার টেবিলে বসতে হবে নির্বাচনকে সফল করার জন্য।
রাষ্ট্রদূত বলেন, কাছের বন্ধু হিসেবে আমরা মতামত দিচ্ছি; কিন্তু তার মানে এটি নয় যে আমরা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছি। বন্ধুত্ব থাকলে এমনটা হতেই পারে।
মিট দ্যা অ্যাম্বাসেডর অনুষ্ঠানে বিদেশিদের কাছে ধরনা না দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূতদের কাছে বলার চেয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করাই ভালো।
এদিকে বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে ড্রোন ও এপিসি কিনছে বলে জানান দেশটির রাষ্ট্রদূত। সেনা ও বিমানবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সঙ্গেও তুরস্ক সহযোগিতা বাড়াবে বলে জানান তিনি।
এ সময় বিশ্ব দরবারে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি যেন গুরুত্ব না হারায় এজন্য আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও দেশের সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করছে তুরস্ক। দেশটির জাতীয় নির্বাচনের পর ইস্তাম্বুলের প্রেসিডেন্ট ঢাকা সফর করবে বলেও জানান এ রাষ্ট্রদূত।
সিজিএস আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে এবারের অতিথি ছিলেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান। তার কাছেও বিশিষ্টজনদের বেশিরভাগ প্রশ্নই আসে নির্বাচনকে ঘিরে। তবে বারবারই উত্তর দেন কূটনৈতিক কৌশলেই। জাতীয় নির্বাচনের দেরি আরও বছরখানেক। তবে এখন থেকেই জোরেশোরে আলোচনা চলছে কূটনীতিক মহলে। ফলে রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদেরও আগ্রহ নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের অবস্থান জানা।