সিডিটি থেকে পেতে এড়িয়ে চলুন পাঁচটি অভ্যাস


ফারহানা জেরিন: , আপডেট করা হয়েছে : 14-11-2022

সিডিটি থেকে পেতে এড়িয়ে চলুন পাঁচটি অভ্যাস

অল্প কিছু খাওয়াদাওয়ার পরেই বুকে জ্বালা, গলা জ্বালা শুরু। সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা মেটাতে সাহায্য নিতে হয় অ্যান্টাসিডের। অ্যাসিডিটির সমস্যা এখন যেন রোজকার জীবনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আট থেকে আশি প্রায় সব বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা লক্ষ করা যায়। অ্যাসিডিটির সঙ্গে সঙ্গে রোজকার রুটিনে ঢুকে পড়েছে মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড। এতে সাময়িকভাবে অ্যাসিডিটির থেকে রেহাই মেলে ঠিকই, কিন্তু দেখা দেয় অন্ত্রের নানা সমস্যা। এর মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে হজমের গন্ডগোলের মতো সমস্যা। দিনের শেষে শুধু পেটের সমস্যাতেই জেরবার হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিনের জীবনযাপন। ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ কাজকর্ম।

তবে, বিশেষজ্ঞদের কথায়, অ্যাসিডিটির থেকে মুক্তি পাওয়া আহামরি কোনও ব্যাপার নয়। রোজ কিছু নিয়ম মেনে চললে অ্যাসিডিটি সহজেই এড়ানো যায়। মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিডের থেকে দূরে রাখা যায় নিজেকে। মূলত প্রতিদিনের জীবনযাত্রার ধরনের জন্যই অ্যাসিডিটি হয়ে থাকে। দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা আর দেখা দেবে না।

১. অতিরিক্ত মাত্রায় চা ও কফি: অনেকেই চা ও কফি ছাড়া থাকতে পারেন না। রোজকার কাজের স্ট্রেস সামলাতে ক্যাফেইন জাতীয় পানীয়ই তাদের ভরসা। অথর এগুলোই অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মূল কারণ। অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে চা, কফি ও কার্বনেটেড পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত।

২. অসময়ে খাওয়াদাওয়া: আমাদের পাকস্থলীর ভিতরের দেওয়াল থেকে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ক্ষরিত হয়। সময় মতো খাওয়াদাওয়া না করলে পেটে এই অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এর ফলে শুধু অ্যাসিডিটি নয়, পাকস্থলীরও ক্ষতি হয়।

৩. ধূমপান ও উচ্চ ফ্যাটের খাবার খাওয়া: বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে গ্যাস্ট্রোএসোফেগাল রিফ্লাক্সের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া উচ্চ ফ্যাটের খাবার খেলে তা হজম হতে যথেষ্ট সময় নেয়। যার ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৪. খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়া: খাবার খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়ার অভ্যাসের জন্য অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ে। খাওয়াদাওয়ার পরেই শুয়ে পড়লে পাকস্থলী অনুভূমিক হয়ে পড়ে। এর ফলে খাবার হজমের প্রক্রিয়া ধীর হয়ে পড়ে। খাওয়াদাওয়ার অন্তত দুই ঘন্টা পরে ঘুমোনো উচিত।

৫. অপর্যাপ্ত ঘুম: অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ে। ঘুম প্রয়োজনের তুলনায় কম হলে লোয়ার এসোফেগাল স্ফিংটারে জ্বালা শুরু হয়। এর ফলে অ্যাসিড এসোফেগাসে পৌঁছে বুক জ্বালা দেয়। একইসঙ্গে অ্যাসিড রিফ্লাক্স ও জিইআরডি-এর মতো সমস্যা দেখা দেয়।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]