ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ইরান ও রাশিয়ার সম্পর্কের যে উন্নতি তা এক কথায় বিস্ময়কর। একে অপরকে সহযোগিতাই এ সম্পর্কের ভিত্তি, যা গড়ে উঠেছে নজিরবিহীন কূটনীতির মধ্যদিয়ে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখন পর্যন্ত যেসব দেশ সফর করেছেন তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে ইরান।
রাষ্ট্রীয় ওই সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাশাপাশি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। এরপর যতই দিন গড়িয়েছে কূটনীতির মাত্রা ততই বেড়েছে। আর এর মধ্যদিয়ে প্রতিনিয়তই বন্ধুত্বের নতুন নতুন সোপান ভাঙছে দুই পক্ষ।
প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো ইরানের একটি স্যাটেলাইট কক্ষপথে প্রতিস্থাপন করতে সাহায্য করেছে রাশিয়া। বিপরীতে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য নিজেদের তৈরি বিশ্বের সর্বাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তি মস্কোকে সরবরাহ করেছে তেহরান। শুধু তাই নয়, দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কও চাঙ্গা হয়েছে।
ইরান-রাশিয়া সম্পর্কের ইতিহাস
সাবেক দুই সাম্রাজ্য ইরান ও রাশিয়ার সম্পর্ক হাজার বছরেরও বেশি পুরনো। ভৌগোলিক নৈকট্যের কারণে শত শত বছর ধরে উভয়ের সম্পর্ক তিক্ত-মধুর অভিজ্ঞতার মধ্যদিয়ে এগিয়েছে। এক সময় শাহ-শাসিত পারস্য (ইরান) ও জার-শাসিত রুশ সাম্রাজ্য একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল।