বাস ডাকাতি রোধে পুলিশ নিয়ে আসছে নতুন প্রযুক্তি। বাসে থাকবে একটি বাটন যেটি চাপ দিলেই সহায়তা চেয়ে বার্তা পৌঁছে যাবে স্থানীয় পুলিশ সুপার, বাস মালিক এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে।
মূলত মহাসড়কে বাস ডাকাতি ঠেকাতে নতুন এমন এক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। দু’একদিনের মধ্যে এটি পরীক্ষামূলকভাবে দেখানো হবে। এ বিষয়টি চূড়ান্ত কার্যকর করতে দ্রুতই বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে পুলিশ।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, এটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ পদ্ধতি চালু হলে সবার নিরাপত্তার বিষয়টি সুরক্ষিত হবে।
এ প্রযুক্তি চালুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে নৈশকালীন কোচগুলোকে এ প্রযুক্তির আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে। কোনো বাস কর্তৃপক্ষ চাইলে নির্দিষ্ট কিছু খরচের বিনিময়ে তা ব্যবহার করতে পারবে।
এ বিষয়ে হানিফ এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম রিকু বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও কেউ যোগাযোগ করেনি। তবে এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। যদি এমন কিছু করা হয় তাহলে পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। আমরা চাই এই প্রযুক্তি চালু হোক, সকলেই নিরাপদে থাকুক।
শ্যামলী পরিবহনের কর্ণধার রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, “বাস ডাকাত প্রতিরোধে যে কোনো কাজকে সহযোগিতা করা হবে।
এর আগে, কিছু দিন আগে ঢাকার আব্দুল্লাহপুর থেকে বাসে টাঙ্গাইলে যাওয়ার পথে চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম যাত্রীর বেশে ওঠা ডাকাত দলের কবলে পড়েছিলেন। পরে এই ঘটনা তিনি সামাজিত গণমাধ্যমে তুলে ধরলে তা ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই পুলিশ মাঠে নামে এবং এ পর্যন্ত ওই চক্রের কয়েকজনসহ ৪০ বাস ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। ডাকাতদের মধ্যে কয়েকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
এদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে মহাসড়কে ডাকাতির নতুন তথ্য সামনে আসছে। এরমধ্যে একটি বাসে ডাকাতিকালে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে ডাকাতরা। গত ১৪ জানুয়ারি রাতে বগুড়া থেকে ঢাকামুখী একটি বাসে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ওই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ, যারা ওই রাতে সহযোগীদের ধর্ষণের কথা জানায়।
রাজশাহীর সময় / এম জি