মানুষের প্রতিদিন প্রয়োজনে যত কাজ করে, সেগুলো যদি সততার মধ্যে পালন করা হয় এবং প্রত্যেকটি কাজই আল্লাহর রাজি-খুশির নিয়ত থাকে, তবেই তা ইবাদাত-বন্দেগি হিসেবে পরিগণিত হবে। সে কাজ হতে পারে চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি ও সমাজসেবাসহ সব কাজ। এমনকি সততার সঙ্গে পারিবারিক সব কর্ম সম্পাদনও ইবাদাতের অন্তর্ভূক্ত। মানুষের প্রতিটি কাজকে ইবাদত-বন্দেগিতে পরিপূর্ণ রূপ দিতে ৩টি আমল করা জরুরি। কাজ ৩টি কী?
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সব কাজ সম্পাদন করতে গিয়ে অনেক সময় মানুষ ভুল করে বসে। আবার কেউ কেউ সঠিক কাজই করে। সব অবস্থায় বান্দার জন্য ৩টি আমল করা ওয়াজিব। তাহলো-
১. ভালো কাজের শুকরিয়া
সব সময় ভালো কাজের শুকরিয়া আদায় করা। কেননা ভালো কাজ করতে পারা মহান আল্লাহ তাআলার নেয়ামাত। যার ফলে ভালো কাজের জন্য আল্লাহর শুকরিয়া ও প্রশংসা করা বান্দার জন্য ওয়াজিব। বেশি বেশি আল্লাহর শুকরিয়া জানানো-
اَلۡحَمۡدُ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ
উচ্চারণ : ‘আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।’
অর্থ : ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সৃষ্টিকুলের রব।’
২. গুনাহের কাজে ক্ষমা চাওয়া
মানুষ ইচ্ছা-অনিচ্ছায় নানা রকম গুনাহে জড়িত হয়ে পড়ে। গুনাহ করার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চাওয়া। যখনই বান্দা কোনো গুনাহ করে ফেলবে, তখনই গুনাহ থেকে মুক্ত হতে তওবা ও ক্ষমা চাওয়া ওয়াজিব। তাইতো গুনাহ হলেই সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কাছে এভাবে ক্ষমা চাওয়া-
أتُوبُ إلى اللَّهِ ممَّا أذْنَبْتُ
উচ্চারণ : আতুবু ইলাল্লাহি মিম্মা আজনাবতু।
অর্থ : ‘আমি যে গুনাহ করেছি, তা থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
৩. বিপদাপদে ধৈর্যধারণ করা
সুখে-দুঃখে মহান আল্লাহ তাআলা বান্দাকে পরীক্ষা করেন। এ পরীক্ষার জন্য বিপদাপদের সম্মুখনি করেন। মুমিন বান্দার উচিত পরীক্ষা এসব মুহূর্তে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া। আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার পাশাপাশি বিপদের মুহূর্তে বান্দার জন্য ধৈর্যধারণ করা আবশ্যক। এতেই মহান আল্লাহ বান্দাকে বিপদমুক্ত করেন।
সুতরাং যে ব্যক্তি এ তিনটি ওয়াজিব আদায় করবে সে দুনিয়া ও আখেরাতে নিশ্চয়ই সফলকামী হবে। কারণ কাজ তিনটিও ইবাদাত। আর আল্লাহ বান্দাকে তাঁর ইবাদাত-বন্দেগির জন্যই সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইবাদাত বন্দেগির মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।