উত্তর অস্ট্রেলিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে ৬টি অত্যাধুনিক পারমাণবিক যুদ্ধবিমান বি-৫২ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) মার্কিন নথির বরাতে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি জানিয়েছে, ওয়াশিংটন অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে ডারউইন শহরে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে টিন্ডাল এয়ার বেসে ওই বিমানগুলো পাঠানোর জন্য বড়সড় পরিকল্পনা করেছে।
তবে এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা দফতর কোনো মন্তব্য করেনি। তবে মার্কিন বিমানবাহিনী জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার আমাদের পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিপক্ষের কাছে আমাদের শক্তি এবং ক্ষমতা সম্পর্কে জানান দেয়া। এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানে আক্রমণ করতে পারে এমন আশঙ্কায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনা। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পরিকল্পনা চীনের জন্য সতর্কসংকেত।
সেন্টার ফর নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির ফেলো বেকা ওয়াসার বলেছেন, চীনের মূল ভূখণ্ডে হামলা চালাতে এমন বোমারু বিমান অস্ট্রেলিয়ার স্থাপন করার অর্থ হচ্ছে চীন যদি তাইওয়ানের ওপর কোনো পদক্ষেপ নিলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বসে থাকবে না।
এদিকে এবিসি আরও জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই অঞ্চলে সামরিক স্থাপনা উন্নত করতে ১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিমান নির্মাতার মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে অত্যাধুনিক বোমারু বিমান হচ্ছে বি-৫২।
বিমানঘাঁটি থেকে বহু দূরে গিয়ে হামলা করতে সক্ষম এই ভারী বোমারু বিমানটি মার্কিন বিমানবাহিনীর মেরুদণ্ড। এই বিমানে পারমাণবিক এবং অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ সব ধরনের প্রচলিত অস্ত্রই মোতায়েন করতে সক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী এবিসিকে জানিয়েছে এই বিমান পরিচালনার জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিমানবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তারা বলেছেন, এতেই প্রমাণ হয় আমাদের দুই বিমানবাহিনী সম্পর্কের ক্ষেত্রে কতটা আন্তরিক। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ চীনের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেছে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি।