যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির অনুসরণ করে, সে কি ওই ব্যক্তির মতো হতে পারে যে আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হয়ে জাহান্নামি হয়েছে। যার অবস্থান হবে জাহান্নাম। কোরআনের আয়াতে বিষয়টি এভাবে সুস্পষ্টভাবে ওঠে এসেছে-
اَفَمَنِ اتَّبَعَ رِضۡوَانَ اللّٰهِ کَمَنۡۢ بَآءَ بِسَخَطٍ مِّنَ اللّٰهِ وَ مَاۡوٰىهُ جَهَنَّمُ ؕ وَ بِئۡسَ الۡمَصِیۡرُ هُمۡ دَرَجٰتٌ عِنۡدَ اللّٰهِ ؕ وَ اللّٰهُ بَصِیۡرٌۢ بِمَا یَعۡمَلُوۡنَ
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অনুসরণ করে, সে কি আল্লাহর আক্রোশে পতিত লোকের ন্যায় হতে পারে? তার নিবাস হল জাহান্নাম, আর তা কতই না নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল! আল্লাহর নিকট তাদের বিভিন্ন মর্যাদা রয়েছে, বস্তুতঃ তারা যা কিছুই করছে, আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৬২-১৬৩)
আয়াতের সারসংক্ষেপ
সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির অনুগত (যেমন- নবি) সে কি ওই লোকের অনুরূপ হয়ে যাবে; যে আল্লাহর গজবের অধিকারী হবে এবং যার ঠিকানা হবে দোজখ? (যেমন- খেয়ানতকারী) আর তা হলো নিকৃষ্টতম স্থান। কখনো এ দুটি অবস্থান সমান হবে না। বরং আলোচ্য (ন্যায় ও সত্যানুগামী এবং যারা গজব বা ধ্বংসযোগ্য) ব্যক্তিবর্গ মর্যাদার দিকদিয়ে আল্লাহর কাছে হবে ভিন্ন।
যারা সত্যের পথের অনুগামী তারা আল্লাহর প্রিয় ও জান্নাতি। আর যারা ধিকৃত তারা জাহান্নামি। আল্লাহ তাআলা খুব ভালো করেই দেখেনে তাদের কার্যকলাপসমূহ। কাজেই তিনি প্রত্যেকের সঙ্গেই যর্থার্থ ব্যবহার করবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আয়াতের শিক্ষা নিজেদের জীবনে আমল করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।