হিজাব ইস্যুতে উত্তাল ইরানে আন্দোলনকারীদের ওপর আবারও গুলি চালিয়েছে দেশটির পুলিশ। ‘সঠিকভাবে’ হিজাব না পরার অভিযোগে ‘নৈতিকতা পুলিশের’ হাতে গ্রেপ্তারের পর মারা যাওয়া ২২ বছর বয়সী তরুণী মাহসা আমিনির শহরে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর- বিবিসির।
মাহসা আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিন উপলক্ষে বুধবার (২৬ অক্টোবর) তাঁর কবরের পাশে হাজারো শোকসন্তপ্ত মানুষ জমায়েত হন। তাঁরা ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’, ‘স্বৈরশাসকের মৃত্যু’, ‘বিশ্বাসঘাতকদের বিরুদ্ধে’ ও ‘কুর্দিস্তান হবে ফ্যাসিস্টদের কবরস্থান’ বলে স্লোগান দেন। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, এ সময় মানুষের ওপর গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে নিরাপত্তাকর্মীরা।
মৃত্যুর ৪০তম দিনকে ধর্মীয় ও আবেগগতভাবে ইরানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই নতুন করে বিক্ষোভের আশঙ্কায় বুধবার সাক্কেজ ও কুর্দিস্তান প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান মাহসা আমিনি। এরপর তাঁর মৃত্যু ও পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে ইরান জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত প্রায় শত বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে দাবি ইরানের মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর।
এদিকে, ইরানের নৈতিকতা পুলিশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিক্ষোভ সহিংসভাবে দমন করায় ১২ জনের বেশি ইরানি কর্মকর্তার ওপর দিয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ওই কর্মকর্তাদের কালোতালিকাভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ইরানের দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে ইরানজুড়ে যে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে, এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।