চোখের সামনেই সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন স্ত্রী। সামনে দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনা ভিডিও রেকর্ডিং করলেন স্বামী! দেখতে দেখতেই ওড়নার ফাঁস গলায় লাগিয়ে ঝুলে পড়লেন মহিলা। একবারও তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন না স্বামী। উল্টে স্ত্রীর মৃত্যুর পর সেই ভিডিও সকলকে দেখালেন তিনি!
অত্যন্ত অস্বস্তিকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। মৃতা মহিলার নাম সবিতা গুপ্তা। চার বছর আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সঞ্জয় গুপ্তার। সঞ্জয়ের রেকর্ড করা সেই ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিছানার উপর একটি চেয়ার পেতে তার উপর উঠে দাঁড়িয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন সবিতা। সব দেখেও তাঁকে একবারও আটকানোর চেষ্টা করেননি সঞ্জয়। উল্টে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘দুর্দান্ত! এটাই তোমার মানসিকতা। ভীষণ নিচু মানসিকতা তোমার।’
এরপর কী ঘটেছে, তা দেখা যায়নি। কিন্তু সবিতার বাবা রাজ কিশোর গুপ্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সঞ্জয় তাঁদের ফোন করে জানান, সবিতা আত্মহত্যা করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যান তাঁরা। গিয়ে দেখতে পান, বিছানার উপর সবিতার দেহ পড়ে রয়েছে। আর তাঁর বুকে চাপ দিয়ে সিপিআর দিচ্ছেন সঞ্জয়। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি সঞ্জয়। এরপর ভিডিওটি তাঁদের দেখান সঞ্জয়, এবং দাবি করেন আগেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন সবিতা। তিনি আরও জানান, প্রথমবার আত্মহত্যার চেষ্টা করার পর তিনিই বাঁচিয়েছেন সবিতাকে।
তড়িঘড়ি সবিতার বাড়ির লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপরেই বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় সবিতার পরিবার। ঘটনায় শোকে মুহ্যমান সবিতার পরিজনরা। চোখের সমানেই মেয়েকে আত্মহত্যা করতে দেখেও জামাই তাঁকে বাঁচানোর কোনও চেষ্টাই করল না, এই ঘটনার ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারছেন না তাঁরা।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সবিতার আত্মহত্যার পিছনে সঞ্জয়ের কোনও ভূমিকা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।