এক ডজনেরও বেশি ইরানি কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : , আপডেট করা হয়েছে : 27-10-2022

এক ডজনেরও বেশি ইরানি কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

ইরানের নৈতিকতা পুলিশ হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল ইরান। কর্তৃপক্ষের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বিক্ষোভকারীরা, তাদের দমন করতে ব্যাপক ধরপাকড়সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীদের দমন-পীড়নের অভিযোগে বুধবার এক ডজনেরও বেশি ইরানি কর্মকর্তাকে তার নিষেধাজ্ঞার কালো তালিকায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

নরওয়ে-ভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী হেনগাও-এর মতে, আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিন পূর্তি উপলক্ষে নিরাপত্তা বাহিনী হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর উপর গুলি চালানোর কারণে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি ঘোষণা করা হয়েছিল।

মার্কিন ট্রেজারি এক বিবৃতিতে বলেছে, বুধবার দেয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞায়, ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ কাজেমি এবং সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের গভর্নর হোসেন মোদারেস খিয়াবানি ও ইসফাহানের পুলিশ প্রধানের নাম রয়েছে। এছাড়াও জাতীয় ও আঞ্চলিক কারাগারের সাত কর্মকর্তাসহ আইআরজিসির আরও দুই কর্মকর্তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ট্রেজারি এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট ইরানের দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যারা হ্যাকারদের প্রশিক্ষণ ও নিয়োগের জন্য একটি একাডেমি পরিচালনা করে এবং সরকারের জন্য ইন্টারনেট সেন্সরশিপের সাথে জড়িত একটি কোম্পানির বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরানের তথাকথিত নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিন হয়ে গেছে এবং আমরা তার পরিবার এবং ইরানি জনগণের সাথে শোক ও প্রতিফলন দিবসের জন্য যোগ দিচ্ছি।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের জনগণকে সমর্থন করতে এবং ইরানে চলমান দেশব্যাপী বিক্ষোভের উপর নৃশংস দমন-পীড়নের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে মারা যান মাসা আমিনি। ঠিকমতো হিজাব না পরায় ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী তেহরানে তাকে ইরানের ‘নৈতিকতা পুলিশ’ গ্রেপ্তার করেছিল। পুলিশের হেফাজতে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর তাকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনদিন কোমায় থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এ কুর্দি তরুণী। মৃত্যুর পর তার জন্মস্থান কুর্দিস্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। যা এখন ইরানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রথমে বিক্ষোভ ইরানের কুর্দি অধ্যুষিত উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে শুরু হলেও ক্রমে তা দেশটির ৮০টি শহর ও নগরে ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৯ এ পেট্রলের দাম নিয়ে হওয়া বিক্ষোভের পর দেশটির দেখা সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ এটি। সূত্র: রয়টার্স


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]