বারাণসীর অদূরে একটি এলাকায় হনুমানের উৎপাতে জেলার পুলিশ সুপারকে ছুটতে হয়েছিল পরিস্থিতি সামাল দিতে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সচিবালয় থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনকে অবিলম্বে হনুমান তাড়াও। বিজেপি সরকার হনুমানের উৎপাতে বিরক্ত এই ব্যাপারটা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক মিমও ছড়িয়েছিল দেদার। সেই ঘটনা ছিল একদল হনুমানের তাণ্ডব। কিন্তু পুরুলিয়ায় একটি হনুমান এমন উৎপাতে শুরু করেছে যে পুরো গ্রামের মানুষ গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
একটা হনুমান এক সপ্তাহ ধরে পুরুলিয়া দুমদুমি এলাকায় উৎপাত করছে । সেটির আক্রমণে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। একজনকে আবার চিকিৎসার জন্য পাঠাতে হয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল্কলেজ হাসপাতালে।
দুমদুমির বাসিন্দা শিবানী দাসের বক্তব্য, ‘আমরা ঘর থেকে বেরোতে পারছি না। বাচ্চাদেরনিয়ে সবচেয়ে চিন্তায় রয়েছি। গত এক সপ্তাহ ধরে একটা হনুমান ব্যপক উৎপাত শুরু করেছে। বনদফতরের পক্ষ থেকে কোন প্রকাল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
পুরুলিয়ার পাড়া রেঞ্জের রেঞ্জার বিক্রম চক্রবর্তী বলেছেন, “হনুমানটিকে ধরতে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নজর রাখা হচ্ছে তার গতিবিধির উপর।আশা করি শিগগির হনুমানটিকে খাঁচাবন্দি করা যাবে।” প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এটি দলছুট হনুমান। হনুমানের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি হল দল বেঁধে ঘোরা। কিন্তু দুমদুমি এলাকায় একটি হনুমানকেই দেখছেন স্থানীয়রা। এমনও দেখা যাচ্ছে বনকর্মীরা যখন ধরতে যাচ্ছে তখন দ্রুত জায়গা বদল করছে হনুমানটি।
বুধবার বিকেল পর্যন্ত হনুমানটিকে ধরা যায়নি।