কুষ্টিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে চাচাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে জাহিদুল হক কবিরাজ (২০) নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর আসামি জাহিদুলকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার অপর চার আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল হক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের মুরাদ করিবাজের ছেলে।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা য়ায়, বাড়ির সীমানা এবং বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের আসাদুল কবিরাজের সঙ্গে তার ভাই মুরাদ করিবাজের বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৯ সালের ৭ জুলাই দুপুরে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন নিয়ে আসাদুলের স্ত্রী নাজমার সঙ্গে মুরাদ কবিরাজের স্ত্রী রহিমা খাতুনের ঝগড়া হয়।
বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে রহিমার স্বামী মুরাদ এবং ছেলে জাহিদুল ইট ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আসাদুলকে জখম করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দুদিন পর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আসাদুলের স্ত্রী নাজমা খাতুন বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই মুরাদ কবিরাজ ও তার ছেলে জাহিদুল কবিরাজসহ পাঁচজনকে আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন কুষ্টিয়া সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজিত কুমার কর। মামলায় ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন আদালত।