বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচ জনকে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২২ অক্টোবর) তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার তাদের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন: আওলাদ হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, এনামুল হক, মো. হারুন-অর-রশিদ, ও মাহফুজুল আলম। শুক্রবার রাতে তাদের ধরা হয়।
এদিকে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
হারুন অর রশীদ আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা এর আগেও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করার কথা স্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় বিমানের ঊর্ধ্বতন কেউ জড়িত কি না সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। এ সময় অভিভাবকসহ সবাইকে এই অপকর্ম বন্ধে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান ডিবি প্রধান।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০০ চালকসহ বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে তা স্থগিত করা হয়।
পদগুলো হলো: জুনিয়র টেইলর কাম আপহোলস্টার, প্রি-প্রেস অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র এমটি মেকানিক, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিক, জুনিয়র ওয়েল্ডার জিএসই, জুনিয়র পেইন্টার জিএসই, জুনিয়র মেকানিক (টায়ার) জিএসই, জুনিয়র মেকানিক জিএই (ক্যাজুয়াল), জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান জিএসই (ক্যাজুয়াল) ও জুনিয়র অপারেটর জিএসই (ক্যাজুয়াল)।
এসব পদের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীতে প্রার্থীদের মোবাইল ফোনে ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেয়া হবে।