শরীয়তপুরের জাজিরার টিঅ্যান্ডটি মোড়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধে আবু ফকির ও মামুন ফকির গ্রুপের সঙ্গে গাজী ফকির ও ইসাহাক ফকির গ্রুপের সংঘর্ষে হোসেন (৩২) নামে এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংঘর্ষে অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাজিরার টিঅ্যান্ডটি মোড়ের হরিয়াশা এলাকার স্থানীয় আবু ফকির ও ইসাহাক ফকিরের মধ্যে একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তবে এরআগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্যদের নিয়ে একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকালে সালিশ বৈঠকে স্থানীয় আবু ফকির ও মামুন ফকির গ্রুপের সঙ্গে ইসাহাক ফকির ও গাজী ফকির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয় পক্ষের সমর্থকরা লাঠিসোটা ও ছেনদা-রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি হাতবোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। সংঘর্ষে হোসেন (৩২) নামে এক পুলিশ সদস্য অন্তত উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে বোমার আঘাতে ইসাহাক ফকিরের বাড়িতে থাকা কয়েকটি ঘর পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে দুইটি ককটেলসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অন্তত ১০জনকে আটক করে জাজিরা থানায় নেওয়া হয়।
সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় সিরাজ বেপারির ছেলে কলেজ ছাত্র তন্ময় বেপারী (২৩) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এসময় চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি করতে হয়। এখনও কোনো পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া অভিযোগ না আসলেও আমরা আমাদের মত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।