সরকারের সমর্থনে গান গাইতে চায়নি, সহপাঠীদের সামনেই পিটিয়ে মেরে ফেলা হল ছাত্রীকে!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 20-10-2022

সরকারের সমর্থনে গান গাইতে চায়নি, সহপাঠীদের সামনেই পিটিয়ে মেরে ফেলা হল ছাত্রীকে!

মাহসা আমিনির মৃমাহসা আমিনির মৃত্যুর পর থেকেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইরান। তবুও কমেনি শাসক-নিরাপত্তা বাহিনীর অত্যাচার। নিরাপত্তা বাহিনীর অত্যাচারে এবার মৃত্যু হল এক স্কুল ছাত্রীর। দেশজুড়ে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তার আঁচ পৌঁছেছে স্কুল-কলেজেও। বিক্ষোভে পথে নামছে ছাত্র-ছাত্রীরাও।

আর সেই বিক্ষোভ দমন করতেই স্কুল-কলেজেও অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। প্রশাসকের সমর্থনে জোর করে পড়ুয়াদের দিয়ে গাওয়ানো হচ্ছে গান। যারাই অস্বীকার করছেন, তাদের কপালে জুটছে মার। নিরাপত্তা বাহিনীর নির্মম অত্যাচারেই প্রাণ হারাল ইরানের একটি স্কুলের ছাত্রী।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৩ অক্টোবর ইরানের আরদাবিলের শাহিদ গার্লস হাই স্কুলে যায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেখানেই সরকারের সমর্থনে পড়ুয়াদের গান গাইতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আসরা পানাহি নামক ১৫ বছরের এক পড়ুয়া সেই গান গাইতে অস্বীকার করলেই তাঁকে মারধর শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। অকথ্য অত্য়াচারে স্কুলের ভিতরেই মৃত্যু হয় ওই পড়ুয়ার। একাধিক ছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন বলেই জানানো হয়েছে কাউন্সিল অব টিচার্স সিন্ডিকেট। যদিও ইরান প্রশাসনের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। মৃত ছাত্রীর কাকাও একটি সংবাদমাধ্যমে জানান, পানাহির হৃত্‍যন্ত্রে সমস্যা ছিল। সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। যদিও অধিকাংশ বিক্ষোভকারীই এই দাবি মানতে নারাজ।

শুক্রবার ওই ছাত্রীর মৃত্যুর পর টিচার্স ইউনিয়নের তরফে রবিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর নির্মম ও অমানবিক অত্যাচারের তীব্র নিন্দা করা হয়। ইরানের শিক্ষামন্ত্রী ইউসুফ নৌরির ইস্তফারও দাবি করা হয়।

সংবাদসংস্থা বিবিসির সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের ৭ জন পড়ুয়া আহত হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর মারে। ১০ জন পড়ুয়াকসে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইরানের মানবাধিকার দফতরের মুখপাত্র রবীনা সামদাসানি বলেন, “বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে কমপক্ষে ২৩ জন পড়ুয়াকে মেরে ফেলা হয়েছে। কমপক্ষে সাতটি প্রদেশে পড়ুয়াদের উপরে অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, সঠিকভাবে হিজাব না পরার অপরাধে, গত মাসে মাহসা আমিনি নামক ২২ বছরের এক তরুণীর পুলিশের মারে মৃত্যু হওয়ার পর থেকেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]