ঢাকার সাভারে পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে বহুতল ভবন থেকে পড়ে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। এসময় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকায় হাজী আম্বিয়া কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত সুলতান বেপারী (৩৮) আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার মৃত মতি বেপারীর ছেলে। একই মামলায় গ্রেফতার আরেক আসামি নিহতের স্বজন ও একই এলাকার মিয়াজ উদ্দিন। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাচিব সিকদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, সুলতান বেপারী ও মিয়াজ উদ্দিনসহ কয়েকজন মিলে আগে পার্টনারশিপে ইটভাটা করেছিলেন। কিন্তু প্রশাসন তাদের ভাটা বন্ধ করে দিলে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন সুলতানসহ তার ব্যবসায়িক অংশীদাররা। টাকা-পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশ সুলতানকে ধরতে যায়। এসময় তিন তলা বাড়ির মূলফটকে পুলিশ অনেক ডাকাডাকি করলেও সুলতানের পরিবার গেট খোলেনি। পরে পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে দ্বিতীয় তলায় সুলতানের ফ্ল্যাটে তাকে না পেয়েই ফিরে যায়। এসময় একই মামলায় সুলতানের চাচা মিয়াজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, পরে ভোরে বাড়ির পাশে সুলতানকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তার পরিবারকে জানায়। তার মাথায় রক্তাক্ত জখম ছিল।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাচিব সিকদার বলেন, রাতের ঘটনাতো জানি না। সকালে শুনলাম। কিন্তু কীভাবে কি হলো বুঝতে পারলাম না। বিষয়টা হচ্ছে, রাতে আমরা গিয়েছিলাম ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে। পরে তার ফ্যামিলি দরজা খুললে আমরা ঢুকে আসামিকে পাইনি। এরপর সকালে শুনলাম মারা গেছেন। ছাদ দিয়ে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। ওই সময় শুনলেতো আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতাম।
তিনি আরও বলেন, ওয়ারেন্ট হলেতো আমাদের তামিল করতেই হয়। একই মামলায় মিয়াজ উদ্দিন নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।