বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতের চূড়ায় হিমবাহ থেকে প্রতি বছর যে পরিমাণ বরফ গলে যাচ্ছে, ওই পরিমাণ বরফ জমতে লেগেছিল বহু দশক।
মনুষ্যসৃষ্টি জলবায়ু সঙ্কটের কারণেই হিমালয়কে এই ভয়াবহ ক্ষয় মেনে নিতে হচ্ছে বলে উঠে এসেছে নতুন এক গবেষণায়। ওই গবেষণাপত্রের বরাতে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এভারেস্ট চূড়ায় এভাবে হিমবাহ গলে যাওয়া বড় ধরনের বিপর্যয়ের সংকেত।
বিশ্বের ১৬০ কোটি মানুষের খাবার জল, সেচের জল, জলবিদ্যুত উত্পাদনের স্রোত- সব ওই হিমবাহ গলা জল থেকেই আসে। গবেষণায় দেখা গেছে, সাউথ কোল হিমবাহে যে বরফ জমাট বাধতে দুই হাজার বছর সময় লেগেছে, তা মাত্র ২৫ বছরে গলে গেছে। যার অর্থ হল, জমাট বাধার তুলনায় ৮০ গুন দ্রুত গলেছে বরফ।
বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী নেচার পোর্টফোলিও জার্নাল ক্লাইমেট অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক সায়েন্সে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে গবেষকেরা দাবি করেছেন, হিমবাহ গলার বিষয়ে অনেক গবেষণা হলেও বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়ার হিমবাহগুলোর বিষয়ে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
২০১৯ সালে বিজ্ঞানী ও পর্বতারোহীদের একটি দল সাউথ কোল হিমবাহে যান, তাদের মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব মেইনের ছয়জন ছিলেন। একটি ১০ মিটার দীর্ঘ বরফ খণ্ড থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তারা। তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের জন্য এরপর বিশ্বের উচ্চতম স্থানে দুটি স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া স্টেশনও তারা স্থাপন করেন। মানুষের নাগালের সবচেয়ে দূরে থাকা হিমবাহ মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কতটা প্রভাবিত হচ্ছে, সেই প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করেছেন তারা।
রাজশাহীর সময় /এএইচ