হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় ভালোবাসার অপরাধে দুই মাস ঘরবন্দি করে রাখা ও নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে পিতা-মাতাসহ আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে। ঘরবন্দি থেকে সুযোগ পেয়ে এক দৌড়ে প্রেমিকের বাড়িতে চলে যান শামিমা আক্তার সুমাইয়া নামের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জন্মদাতা মা বাবার বিরুদ্ধে লাইভ করেন ওই স্কুল ছাত্রী। শনিবার (১৫ অক্টোবর) বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
লাইভ ভিডিওতে মেয়েটি বলে, বাহুবল উপজেলার পূর্বজয়পুর গ্রামের তাজউদ্দিন নামে একটি ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মেয়ের সঙ্গে মেয়ের মা নাছিমা আক্তার ও বাবা মনসুর খান মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে। ছেলের পক্ষ থেকে মেয়ের বাড়িতে বিয়ের আলাপ নিয়ে গেলেও মেয়ের মা বাবা ছেলের পক্ষের লোকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি ছেলের পক্ষের লোকজন এলাকার মুরব্বিদের অবগত করেও কোন প্রতিকার পাননি।
সুমাইয়া ভিডিওতে আরও বলেন, সে তাজ উদ্দিন নামের এক ছেলেকে ভালবাসার অপরাধে তার মা বাবা তাকে দুই মাস ঘর বন্দি করে রাখে। শনিবার সকলের অগোচরে বাথরুমের কথা বলে ঘর থেকে পালিয়ে তাজ উদ্দিনের বাড়িতে আসতে সক্ষম হয়। সে তার পিতা মাতার কাছে যেতে চায় না।
এছাড়া সে যদি কখনও আত্মহত্যা করে সেজন্য তার বাবা-মা দায়ী থাকবে বলেও ভিডিওতে উল্লেখ করে সুমাইয়া। অন্য একটি সূত্র জানায়,তারা কোর্ট ম্যারেজে আবদ্ধ হয়েছে।
এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা মনসুর খানের মোবাইলে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে তাজ উদ্দিন জানায়, তার প্রেমিকা তার কাছেই রয়েছে। সে প্রাপ্ত বয়স্ক,তারা দুজনেই সংসারী হবেন।