ইরানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এলনাজ নরৌজি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাজিদ বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন। সেই সঙ্গে বিবিসির এক তথ্যচিত্রেও প্রমাণ পাওয়া গেছে সাজিদ খানের কুকীর্তি। বিবিসির সেই তথ্যচিত্র এখন নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত পরিচালক সাজিদ খান জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস’-এ অংশ নেয়ার পর থেকেই রাতের ঘুম হারাম হয়েছে বলিউড নায়িকাদের। তাদের যুক্তি মানসিক বিকারগ্রস্ত এমন লোক আবার মিডিয়ায় স্বাভাবিকভাবে কাজে অংশগ্রহণ করা মানেই তাকে সবাই মেনে নিয়েছে। আর তার করা অপরাধ যেন কোনো অপরাধই নয়, এটিকেই প্রতিষ্ঠিত করে।
এ বিতর্কের ডালপালা দিন পার হওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেন বেড়েই চলেছে। এমন যখন পরিস্থিতি চলছে তখন এক সাক্ষাৎকারে নাম সরাসরি প্রকাশ না করে অভিনেত্রী এলনাজ নরৌজি বলেছেন, উনি আমায় ‘সেক্রেড গেমস’ করতে বারণ করেছিলেন। ওই ছবির পরিবর্তে ওর ছবিতে অভিনয়ের কথা বলেছিলেন। আমার মনে হয়েছিল, ওর কথা শুনলে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দেখুন ‘সেক্রেড গেমস’ কোথায় নিয়ে গেল আমাকে। আর ওর ওই ছবি ফ্লপ করল।
পরিচালক আর যৌন হেনস্তার এমন গরম হাওয়ায় এলনাজের মন্তব্য তাই আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে। উল্লেখ্য এলনাজ পরিচালক বিপুল শাহের বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছিলেন।
এলনাজ ছাড়াও আরেক ইরানি অভিনেত্রী ও মডেল মন্দনা কারিমিও যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন সাজিদের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালেই তিনি ‘হামসাকাল’ ছবির কাজ করতে গিয়ে সাজিদের যৌন হেনস্তার শিকার হন।
এদিকে বিবিসির একটি তৈরি তথ্যচিত্রে উঠে এসেছে সাজিদ খানের কুকীর্তির কথা। প্রায় ৯ বছর আগে ঘটে যাওয়া জিয়া খানের মৃত্যু নিয়ে বিবিসি তৈরি করেছিল ‘দ্য ডেথ ইন বলিউড’নামের একটি তথ্যচিত্র।
এর ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে এখন সরগরম হয়ে উঠেছে বলিউডের গ্লামার গার্লরা। ওই তথ্যচিত্রে জিয়ার বোন সাজিদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছিল। তিনি জিয়ার একটি ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন।
জিয়া খানের বোন কারিশমা বলেন, ঘটনাটি ঘটে ‘হাউজফুল’ ছবির সময়। তখন জিয়া খানকে পোশাক খুলতে বলেছিলেন সাজিদ। বাড়ি ফিরে কেঁদে ফেলেছিলেন জিয়া। বলেছিলেন, ‘আমি চুক্তিবদ্ধ। যদি আমি এখন ছবি ছেড়ে দেই ওরা আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। আমার নামে অপবাদ দিতে পারে। যদি আমি থেকে যাই, তাহলে আমাকে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হবে।’
জিয়া খানের বোনের এই ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর কঙ্গনা তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ওরা জিয়াকে মেরেছে। সুশান্তকে মেরেছে। আমাকে মারার চেষ্টা করেছে। ওদের প্রতি মাফিয়াদের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তাই প্রতি বছর তারা আরও শক্তিশালী ও সফল হচ্ছে।’
বলিউডের একাধিক গ্লামার গার্ল তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় করেছেন গঠনমূলক মন্তব্য। সোনা মহাপাত্র, উরফি জাবেদ, সুচরিতা তাইয়াগি, মহুয়া চিনাপ্পা, শার্লিন চোপড়ার মতো অনেক বলিউড স্টারই মনে করছেন এমন এক নিচু মনের মানুষকে ভারতীয় চ্যানেলে দেখতে পারার বিষয়টি যথেষ্ট নিন্দনীয়।