গরমকাল আসলেই অনেকের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় শরীরের দুর্গন্ধ। সুগন্ধি সাবান বা শাওয়ার জেল দিয়ে স্নান করেও অনেক সময়ে গায়ের দুর্গন্ধ যাচ্ছে না।
বাইরে বের হলে ব্যাগে মোবাইল, হেডফোনের পাশাপাশি পকেট ডিওডোরেন্ট রাখাও একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। যদি আপনার সাথেও এমন হয়ে থাকে তাহলে আগে জানা দরকার কেন গায়ে গন্ধ হচ্ছে।
ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গায়ে গন্ধ হওয়া, বিশেষ করে বগলে গন্ধ হওয়া আসলে একটা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। তাই এটি নিয়ে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। তবে সেটা যেন অন্যের বিরক্তির কারণ না হয় সেটাও দেখতে হবে। তবে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ হওয়াটা একটা সমস্যা ।
শরীরে দুর্গন্ধের জন্য দায়ী হচ্ছে বিও এনজাইম। এই বিও এনজাইম এক ধরনের বিশেষ ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে পাওয়া যায়। আর এই ব্যাকটিরিয়া বাসা বাঁধে আমাদের বাহুমূলে। এই কারণে এমন বিশ্রী দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। নানা রকম পারফিউম বা ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করে সাময়িকভাবে দুর্গন্ধ দূর করা গেলেও তা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায় না।
১. যদি বেশি অ্যালকোহল পান করেন তাহলে আপনার স্বেদ গ্রন্থি অ্যাসিডিক হয়ে যায়। এর ফলে গায়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। ফলে অ্যালকোহল পান কমিয়ে দিন।
২. পেট ভরে না খেলে শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে। এমনটা হলে ঘামে দুর্গন্ধ হয়। এছাড়া শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হলে ঘাম থেকে এমন বাজে গন্ধ হয়।
৩. অনেক সময়ে কোনো কারণে মানসিক ভাবে চিন্তিত থাকলে দেহের অ্যাপোক্রিন গ্রন্থি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এটি তখন আপনার সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেমকে আরও উত্তেজিত করে তুলতে পারে। আর এই মানসিক স্ট্রেস দুর্গন্ধ আরো বাড়িয়ে দেয়। এজন্য অযথা চিন্তা করা আজই বাদ দিয়ে দিন।
৪. বয়ঃসন্ধিতে অনেকেরই এই সমস্যা হলেও তারপরে এই সমস্যার সমাধান না হলে বুঝতে হবে বড় কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। এছাড়াও যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের অনেক সময় গায়ে দুর্গন্ধ হয়।