বঙ্গোপসাগরে দুই লাইটার জাহাজের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ নাবিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুজন।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে তিনজন এবং বিকেলে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মোবাইলে ধারণ করা ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকেলের দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরের বঙ্গোপসাগর অংশে ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে এমভি সুলতান সানজার নামে পাথরবোঝাই লাইটার জাহাজটি। শেষ মুহূর্তে ৬ নাবিককে জাহাজে রেখে জীবন বাঁচাতে ৩ জন সাগরে লাফিয়ে পড়েন। সেখানে থাকা কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ ৩ জনকেই জীবিত উদ্ধার করে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাথর নিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার সময় বঙ্গোপসাগরে অপর একটি জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এমভি সুলতান সানজারের। সংঘর্ষের পর থেকে কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর ১০ সদস্যের দুটি ডুবুরি দল নিখোঁজদের সন্ধানে সাগরে অভিযান শুরু করে। পরে শুক্রবার সকালে একে একে উদ্ধার করা হয় ৩ জনের মরদেহ। সবশেষ বিকেলে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুজন।
নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের সদস্য লেফটেন্যান্ট বেলাল হোসেন জানান, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুজনের মরদেহ না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে।
কোস্টগার্ড উদ্ধারকারী দলের সদস্য লেফটেন্যান্ট ইফতেখার আলম বলেন, এমভি সানজার পাথরভর্তি থাকায় দ্রুত ডুবে গেছে।
ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পাথরবোঝাইয়ের কারণে জাহাজটি ডুবেছে বলে ধারণা কোস্টগার্ডের। সে সঙ্গে সাগর উত্তাল থাকায় উদ্ধার কাজেও ডুবুরিদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে।
ডুবে যাওয়া জাহাজের সব নাবিকেরই বাড়ি মাগুরা জেলার মহম্মদপুরে।