গিনেস বুকে ঠাকুরগাঁওয়ের রাসেলের যত রেকর্ড


ক্রীড়া ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 08-10-2022

গিনেস বুকে ঠাকুরগাঁওয়ের রাসেলের যত রেকর্ড

নিজের ইচ্ছা আর অদম্য শক্তিতে স্কিপিং রোপ খেলায় গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে ছয়বার নাম লিখিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাসেল। বিশ্বরেকর্ড গড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। তার এমন প্রতিভায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা তেমনভাবে এগিয়ে না আসলেও খুশি, স্থানীয় এলাকাবাসী ও ক্রীড়াসংশ্লিষ্টরা। পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে ভালো খেলোয়াড় গড়ে ওঠা সম্ভব নয় বলে জানান তারা।

নিজ উদ্যোগে স্কুলজীবন থেকেই স্কিপিং রোপ খেলা শুরু করেন ঠাকুরগাঁও সদরের রহিমানপুর ইউনিয়নের রাসেল ইসলাম। প্রশিক্ষক ছাড়াই এলাকার বিভিন্ন স্কুল মাঠে কিংবা বারান্দায় নিজের মতো করে চালিয়ে যান এই খেলা।

আরও পারদর্শী হতে ইউটিউব দেখে নানা অঙ্গভঙ্গিতে খেলা চালিয়ে যান রাসেল। ধীরে ধীরে স্কিপিং রোপ খেলায় একজন দক্ষ খেলোয়াড় হিসেবে তৈরি করেন নিজেকে। অনলাইনে আবেদন করেন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নিজের নাম অন্তর্ভুক্তকরণে।

২০১৯ সালে এক পায়ের ওপর ৩০ সেকেন্ডে ১৪৪ বার এবং ১ মিনিটে ২৫৮ বার লাফিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন রাসেল। এভাবে একের পর এক রেকর্ড গড়ে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ইভেন্টে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ছয়বার সার্টিফিকেট অর্জন করেন রাসেল। তার এমন কৃতিত্বেও জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে আসেনি তেমন কোনো সহযোগিতা। এদিকে স্থানীয়সহ ক্রীড়াসংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ভালো খেলোয়াড় তৈরিতে বিকল্প নেই পৃষ্ঠপোষকতার।

গিনেস বুকে নাম লেখানো খেলোয়াড় রাসেল ইসলাম বলেন, 'যখন আমি বিশ্ব রেকর্ডগুলো করি, তখন জেলা ক্রীড়া সংস্থা আমাকে আশ্বাস দিয়েছিল তারা আমাকে সংবর্ধনা দেবে। তবে তারা তো সংবর্ধনা দূরে থাক, আমার কোনো খোঁজখবরই নেয় না। আমি যে বিশ্ব রেকর্ড করেছি, তাও তারা জানে কি না আমার মনে হয়।' 

এদিকে ঠাকুরগাঁও ক্রীড়া সংগঠক ফারুক হোসেন জুলু বলেন, 'যে প্রতিষ্ঠানগুলো খেলাধুলা দেখাশোনা করার জন্য আছে, তাদের আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। আরও ভালো সংগঠক দিয়ে সংগঠনগুলো পরিচালনা করা উচিত বলে আমি মনে করি।' 

বর্তমানে জেলা ক্রীড়া সংস্থা আর্থিক সংকটে রয়েছে জানিয়ে আগামীতে, সহযোগিতার আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা। ঠাকুরগাঁও জেলা ক্রীড়া সংস্থা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুল হুদা, 'আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়েই যাচ্ছি আমরা। আমরা চেষ্টা করব তার (রাসেল) ব্যাপারে এবং তাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার। যেন তার আরও উন্নতি হয় সে বিষয়গুলো আমরা খেলায় করব।'  

পৃষ্ঠপোষকতা পেলে রাসেলের মতো অনেক খেলোায়াড় তৃণমূল থেকে উঠে আসবে বলে মত স্থানীয়দের।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]