মানব সভ্যতার জন্য সবচেয়ে বড় ও কঠিনতম পরীক্ষা হলো দাজ্জালের ফেতনা। এই ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকার মন্ত্র রয়েছে সুরা কাহফে। দাজ্জালের ফেতনার পূর্বাপর সম্পর্কে আলোচনা করলে দেখা যায়, আগে বর্ণিত চারটি ফেতনার সঙ্গে দাজ্জালের ফেতনার সম্পর্ক রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
مَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْكَهْفِ عُصِمَ مِنَ الدَّجَّالِ
‘যে ব্যক্তি সুরা কাহফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।’ (মুসলিম, ৮০৯)
দাজ্জালের আবির্ভাবের আগ পর্যন্ত তার এবং তার আগমনের ক্ষেত্র প্রস্তুতে নিয়োজিত বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের প্রথম আমলি প্রতিরোধ হলো সুরা কাহফের শুরুর (১-১০) আয়াতসমূহ।
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক দীর্ঘ হাদিসে বলেছেন, ‘দাজ্জালের অনাসৃষ্টির মধ্যে একটি এই যে, তার সাথে জান্নাত ও জাহান্নাম থাকবে। তবে তার জাহান্নাম হবে জান্নাত এবং তার জান্নাত হবে জাহান্নাম। যে ব্যক্তি তার জাহান্নামের বিপদে পতিত হবে, সে যেন আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে এবং সুরা কাহফের প্রথমাংশ তেলাওয়াত করে।’ (ইবনু মাজাহ, ৪০৭৭)
আল্লাহর কাছে তারই শেখানো ভাষায় দোয়া করা। যে দোয়াটি সুরা কাহফের ১০নং আয়াতে ওঠে এসেছে। তাহলো-
رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ رَحۡمَۃً وَّ هَیِّیٴۡ لَنَا مِنۡ اَمۡرِنَا رَشَدًا
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা আতিনা মিল্লাদুংকা রাহমাতাও ওয়া হায়্যিলানা মিন আমরিনা রাশাদা।’
অর্থ : ‘হে আমাদের রব!, আপনার পক্ষ থেকে আমাদের রহমত দিন এবং আমাদের জন্য আমাদের কর্মকান্ড সঠিক করে দিন ‘
আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুসলিমাকে সুরা কাহফের আমলের মাধ্যমে দাজ্জালের ফেতনা থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।