উঁচু ক্লাসের ছাত্রদের কাছে গণধর্ষিতা ওই স্কুলেরই ১১ বছর বয়সি এক ছাত্রী ৷ এই অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়৷ অভিযোগ, রাজধানীতে এই স্কুলের শৌচালয়ে গণধর্ষণ করা হয় ওই পড়ুয়াকে ৷ মঙ্গলবার এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পুলিশের কাছে৷ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের আঞ্চলিক সংগঠনের তরফেও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে জুলাই মাসে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে৷ কিন্তু নিগৃহীতার পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মঙ্গলবার৷ দিল্লির মহিলা কমিশন এই ঘটনা নিয়ে আলোড়ন তোলার পরই পুলিশের দ্বারস্থ হয় ছাত্রীর পরিবার৷
অভিযোগকে ‘গুরুতর’ আখ্যা দিয়ে দিল্লি পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট স্কুলের অধ্যক্ষের কাছে নোটিস পাঠিয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশন৷ যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নিগৃহীতা বা তার পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ তাদের কাছে দায়ের করা হয়নি৷ পুলিশের কাছ থেকেই তাঁরা অভিযোগ সম্বন্ধে জেনেছেন বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের৷ প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের অধীনে থাকা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্কুল একটি স্বশাসিত সংস্থা৷ দেশের ২৫ টি অঞ্চলে ১২০০-র বেশি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে৷
দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল জানিয়েছেন, ‘‘দিল্লির একটি স্কুলের শৌচালয়ে ১১ বছর বয়সি ছাত্রীর গণধর্ষিতা হওয়ার গুরুতর অভিযোগ আমরা পেয়েছি৷ নিগৃহীত ছাত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্কুলের শিক্ষিকা পুরো বিষয়টি গোপন করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন৷ এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আজকাল রাজধানীতে স্কুলও শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়৷ ’’ এই ঘটনায় তিনি কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন৷ স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাতী৷
দিল্লির মহিলা কমিশনের দাবি, নিগৃহীতা ছাত্রী তাদের জানিয়েছে জুলাই মাসে একদিন স্কুলের করিডোরে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর দুই পড়ুয়ার সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে৷ এর পর সে বার বার দুঃখরপ্রকাশ করে ক্ষমাও চেয়ে নেয়৷ কিন্তু অভিযোগ, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর কিছু পড়ুয়া তাকে টেনে নিয়ে শৌচালয়ে যায়৷ তার পর শৌচালয়ে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ৷ পরবর্তীতে ক্লাসের শিক্ষিকাকে অভিযোগ জানাতে গেলে তাকে সব গোপন করতে বলা হয় বলে ছাত্রীর অভিযোগ৷ ওই ছাত্রদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও স্কুলের তরফে জানানো হয় তাদের৷ কেভিএস আধিকারিকদের দাবি, তাদের কাছে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি৷