কুকুর সাধারণত বাঁচে ১০ বছর। খুব বেশি হলে ১৫ কি ১৬। কিন্তু পেবলস নামে একটি বাঁচল ২২ বছর। শুধু বয়েসের কারণেই সে নাম লিখিয়ে ফেলেছিল গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে। চলতি সপ্তাহেই মারা যায় সে। দক্ষিণ ক্যারোলিনার এক বাড়িতেই এতদিন ছিল সে। সেখানেই দাপিয়ে বেড়িয়েছে। বয়েসের ছাপ ছিল না শরীরে। আর মাত্র পাঁচ মাস পরেই সে ছুঁয়ে ফেলত ২৩। যদিও এখানেই থামতে হল তাকে।
২০২০ সালের ২৮ মার্চ নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেছিল পেবলস। তার আগে বিশ্বের বৃদ্ধতম কুকুর হিসেবে নাম ছিল টবিকিথ নামে এক চিহুয়াহুয়া কুকুরের। তবে খবরে যখন টবিকি থের নাম আসে তখন মার্কিন মুলুকের ববি ও জুলি গ্রেগরি বুঝতে পারেন যে তাঁদের পোষ্যও তো ২১ ছাড়িয়ে গেছে।
কেমন স্বভাব ছিল পেবলসের? গ্রেগরির কথায়, সে খুবই শান্তপ্রিয় কুকুর ছিল। ঘরের কোণের কাউচে বসে থাকত। যেই বাড়ি আসতেন তার সঙ্গে ছবি তুলতে চাইত। ক্যামেরা দেখলেই নানান অঙ্গভঙ্গিতে পোজ দিত সে। শুধু তাই তার পছন্দের তালিকায় ছিল গান শোনা।
নতুন নতুন খাবার চেখে দেখার শখ ছিল তার। কিন্তু কী করে এমন দীর্ঘ জীবন পেল পেবলস? গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাদের ব্লগে জানিয়েছে, গ্রেগরি পরিবার তার স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সবসময় প্রোটিন, সবজি ও রাইস-সহকারে একটি ব্যালেন্সড ডায়েটের মধ্যে রাখতেন। ঘরের সদস্যর মতোই আদর ও যত্ন পেত সে।