নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘর ছিলো ঈমানের আবাদ। ইবাদাত ও জিকিরে ভরপুর। আর প্রত্যেকের ঘরও যেন সেরকম হয় সে জন্য নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতে মুসলিমাকে অসিয়ত করেছেন। ঘরে কী নামাজ পড়তে বলেছিলেন নবিজি?
হ্যাঁ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবাইকে নিজ নিজ ঘরকে ইবাদত ও জিকিরে ভরপুর করতে বলেছেন। সে নামাজ হলো নফল নামাজ। নফল নামাজ পড়ে ঘরকেও আবাদ করতে হবে। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত ইবনু ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
اجْعَلُوا فِي بُيُوتِكُمْ مِنْ صَلاَتِكُمْ وَلاَ تَتَّخِذُوهَا قُبُورًا
‘তোমাদের ঘরেও তোমরা কিছু নামাজ আদায় করো, নামাজ না পড়ে ঘরকে কবরে পরিণত করো না।’ (বুখারি : ৪৩২, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)
হজরত ইবনুল কাইয়্যিম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাধারণত সুন্নত নামাজগুলো এবং ঐ নফল নামাজ যা নির্ধারিত কারণে (জানাজা, চন্দ্র গ্রহণ ইত্যাদি) পড়া হয় তা ঘরেই পড়তেন; বিশেষ করে মাগরিবের সুন্নত নামাজ। তিনি মাগরিবের সুন্নত মসজিদে পড়েছেন এমন কোনো প্রমাণ নেই।
ঘরে নফল ও সুন্নত পড়ার উপকার
ঘরে সুন্নত ও নফল নামাজ আদায় করার অনেক উপকার রয়েছে; তাহলো-
১. নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নতের অনুসরণ ও অনুকরণ।
২. নারী ও শিশুদের নামাজের পদ্ধতি শিক্ষা দেওয়া।
৩. নামাজে কেরাত ও জিকির করার মাধ্যমে শয়তানকে ঘর থেকে বিতাড়িত করা।
৪. নামাজ মসজিদে আদায় করার তুলনায় অধিক ইখলাস পূর্ণ হওয়া।
৫. লোক দেখানো নামাজ পড়া তথা রিয়া বা ছোট শিরক থেকে বাঁচা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ঘরে নফল ও সুন্নত নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।