পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম ও দুর্নীতি চললেও তা এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে, যার অন্যতম হোতা হিসেবে সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরের কর্মচারী হৃদয়ের নাম উঠে এসেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার আজমদপুর গ্রামের মোজাহিদ (পিতা: আক্তার আলী) নামের এক যুবককে সৈয়দপুর সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে ডেলি লেবার পদে নিয়োগ পাইয়ে দিতে হৃদয় ১লাখ ৬০হাজার টাকা ঘুষ নেন। এই নিয়োগ ১, ৩ ও ৫ বছর মেয়াদি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার আওতায় হয়েছে বলে জানা গেছে।
রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নেওয়া ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ৭০ হাজার টাকা নগদ এবং বাকি ৯০ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হৃদয়ের ব্যবহৃত নম্বরে পাঠানো হয়। লেনদেনের তথ্য যাচাই করে টাকা পৌঁছানোর প্রমাণও মিলেছে। অভিযোগ রয়েছে, এর মধ্যে ৬০ হাজার টাকা অন্য এক পক্ষের সঙ্গে ভাগাভাগি করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ১ লাখ টাকা ‘অফিস খরচ’ ও ব্যক্তিগত কমিশন হিসেবে রাখা হয়।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কর্মচারী হৃদয় প্রথমে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং তথ্যের উৎস জানতে চান। পরে কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি আজ রবিবার সাক্ষাৎ করে চা খেতে খেতে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন, যা বিষয়টিকে আরও সন্দেহজনক করে তোলে।
অন্যদিকে, চাকরি পাওয়া মোজাহিদের মা নাজমিন খাতুন মুঠোফোনে বলেন, কে কোথায় কাজ করবে, কে কাকে টাকা দেবে—এগুলো আপনাদের জানার বিষয় না। আমরা হৃদয়ের সঙ্গে বুঝবো। তার এই বক্তব্য আর্থিক লেনদেনের অভিযোগকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করে।
সৈয়দপুরের জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মারুফ মোজাহিদের যোগদানের বিষয়টি স্বীকার করলেও কোনো আর্থিক লেনদেনের কথা জানেন না বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, নিয়োগ ও পদায়নের সিদ্ধান্ত রাজশাহী অফিস থেকে আসে এবং তার দায়িত্ব শুধু কর্মী বুঝে নেওয়া।
এ ব্যপারে বক্তব্য জানতে রাজশাহীর রেলওয়ে সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পশ্চিম) মোঃ আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ে, রাজশাহী মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) ফরিদ আহমেদ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।আপনার কাছে জানলাম। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, রেলওয়েতে এখন যোগ্যতার চেয়ে অর্থই নিয়োগের প্রধান মানদণ্ড হয়ে উঠছে। বেতনভুক্ত কর্মচারী হয়েও দালালির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা প্রকাশ্যে এই বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ায় রেলওয়ের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার আজমদপুর গ্রামের মোজাহিদ (পিতা: আক্তার আলী) নামের এক যুবককে সৈয়দপুর সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে ডেলি লেবার পদে নিয়োগ পাইয়ে দিতে হৃদয় ১লাখ ৬০হাজার টাকা ঘুষ নেন। এই নিয়োগ ১, ৩ ও ৫ বছর মেয়াদি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার আওতায় হয়েছে বলে জানা গেছে।
রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নেওয়া ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ৭০ হাজার টাকা নগদ এবং বাকি ৯০ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হৃদয়ের ব্যবহৃত নম্বরে পাঠানো হয়। লেনদেনের তথ্য যাচাই করে টাকা পৌঁছানোর প্রমাণও মিলেছে। অভিযোগ রয়েছে, এর মধ্যে ৬০ হাজার টাকা অন্য এক পক্ষের সঙ্গে ভাগাভাগি করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ১ লাখ টাকা ‘অফিস খরচ’ ও ব্যক্তিগত কমিশন হিসেবে রাখা হয়।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কর্মচারী হৃদয় প্রথমে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং তথ্যের উৎস জানতে চান। পরে কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি আজ রবিবার সাক্ষাৎ করে চা খেতে খেতে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন, যা বিষয়টিকে আরও সন্দেহজনক করে তোলে।
অন্যদিকে, চাকরি পাওয়া মোজাহিদের মা নাজমিন খাতুন মুঠোফোনে বলেন, কে কোথায় কাজ করবে, কে কাকে টাকা দেবে—এগুলো আপনাদের জানার বিষয় না। আমরা হৃদয়ের সঙ্গে বুঝবো। তার এই বক্তব্য আর্থিক লেনদেনের অভিযোগকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করে।
সৈয়দপুরের জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মারুফ মোজাহিদের যোগদানের বিষয়টি স্বীকার করলেও কোনো আর্থিক লেনদেনের কথা জানেন না বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, নিয়োগ ও পদায়নের সিদ্ধান্ত রাজশাহী অফিস থেকে আসে এবং তার দায়িত্ব শুধু কর্মী বুঝে নেওয়া।
এ ব্যপারে বক্তব্য জানতে রাজশাহীর রেলওয়ে সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পশ্চিম) মোঃ আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ে, রাজশাহী মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) ফরিদ আহমেদ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।আপনার কাছে জানলাম। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, রেলওয়েতে এখন যোগ্যতার চেয়ে অর্থই নিয়োগের প্রধান মানদণ্ড হয়ে উঠছে। বেতনভুক্ত কর্মচারী হয়েও দালালির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা প্রকাশ্যে এই বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ায় রেলওয়ের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।