বাংলাদেশে যে ফের আগুন জ্বলতে চলেছে তার আভাস নিজের বান্ধবীকে দিয়েছিলেন শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ফয়জল করিম। হাদির উপর হামলার দিন ফয়জল তাঁর বান্ধবীকে বলেছিলেন, এমন কিছু হতে চলেছে যা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেবে। তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, গত সপ্তাহে ঢাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে মুখোশধারী মোটরসাইকেল আরোহী হামলাকারীদের গুলিতে হাদি আহত হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই এই বার্তা দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার সিঙ্গাপুরে হাদির মৃত্যু বাংলাদেশ জুড়ে অস্থিরতা, অগ্নিসংযোগ এবং জনবিক্ষোভের জন্ম দেয়।
বাংলাদেশি তদন্তকারীদের মতে, প্রধান অভিযুক্ত ফয়জল করিম তাঁর বান্ধবী ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী মারিয়া আক্তার লিমাকে ঢাকার উপকণ্ঠে সাভারের একটি রিসোর্টে থাকার সময় এই মন্তব্যটি করেছিলেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ফয়জলের মন্তব্য থেকেই বোঝা যায় যে হাদির উপর হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল।
তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদে রেকর্ড করা বক্তব্যের সূত্র ধরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সে বলেছিল, পরের দিন এমন কিছু ঘটবে যা পুরো দেশকে কাঁপিয়ে দেবে। যমুনা টেলিভিশন জানিয়েছে, মন্তব্যটি করার সময় ফয়জল লিমাকে হাদির একটি ভিডিও ক্লিপও দেখিয়েছিল। দৈনিক যুগান্তর ফয়জলের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে লিখেছে, কাল এমন কিছু ঘটবে যে পুরো দেশ কেঁপে উঠবে।
এই কথোপকথনের কয়েক ঘণ্টা পর ফয়জল এবং তাঁর দুই সহযোগী রাজধানী ঢাকায় হাদির ওপর গুলি চালায় বলে অভিযোগ। একটি গুলি তাঁর কানের ভিতর দিয়ে ঢুকে মাথার অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। তাঁকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কয়েকদিন সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তিনি মারা যান।
হাদির মৃত্যুর পর থেকে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে ব্যাপক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। সংবাদমাধ্যম কার্যালয়, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাস নামে এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ এখন গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার সম্মুখীন হচ্ছে।
বাংলাদেশি তদন্তকারীদের মতে, প্রধান অভিযুক্ত ফয়জল করিম তাঁর বান্ধবী ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী মারিয়া আক্তার লিমাকে ঢাকার উপকণ্ঠে সাভারের একটি রিসোর্টে থাকার সময় এই মন্তব্যটি করেছিলেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ফয়জলের মন্তব্য থেকেই বোঝা যায় যে হাদির উপর হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল।
তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদে রেকর্ড করা বক্তব্যের সূত্র ধরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সে বলেছিল, পরের দিন এমন কিছু ঘটবে যা পুরো দেশকে কাঁপিয়ে দেবে। যমুনা টেলিভিশন জানিয়েছে, মন্তব্যটি করার সময় ফয়জল লিমাকে হাদির একটি ভিডিও ক্লিপও দেখিয়েছিল। দৈনিক যুগান্তর ফয়জলের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে লিখেছে, কাল এমন কিছু ঘটবে যে পুরো দেশ কেঁপে উঠবে।
এই কথোপকথনের কয়েক ঘণ্টা পর ফয়জল এবং তাঁর দুই সহযোগী রাজধানী ঢাকায় হাদির ওপর গুলি চালায় বলে অভিযোগ। একটি গুলি তাঁর কানের ভিতর দিয়ে ঢুকে মাথার অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। তাঁকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কয়েকদিন সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তিনি মারা যান।
হাদির মৃত্যুর পর থেকে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে ব্যাপক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। সংবাদমাধ্যম কার্যালয়, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাস নামে এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ এখন গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতার সম্মুখীন হচ্ছে।