টানা চার মাস ধরে কমছে তৈরি পোশাকসহ দেশের মোট রফতানি আয়। কমছে ব্যাক টু ব্যাক এলসি নিষ্পত্তিও, যা পূর্বাভাস দিচ্ছে আগামী দিনে রফতানি আয় আরও কমার। এর কারণ হিসেবে উদ্যোক্তাদের দাবি, পোশাকের বেসিক আইটেমের দাম কমিয়ে ইউরোপের বাজার দখলে নিচ্ছে ভারত-চীন। রয়েছে বাড়তি মার্কিন শুল্ক উৎপাদকের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টাও। এ অবস্থায় ক্রয়াদেশ বাড়াতে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর করার তাগিদ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।
রফতানির জন্য দরকারি পণ্য আমদানিতে ব্যাক টু ব্যাংক এলসি খোলা এবার গেল জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ১৩.৮১ শতাংশ আর এ সময়ে নিষ্পত্তি কমেছে ১.৮৭ শতাংশ। এ সময়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও মধ্যবর্তী পণ্য আমদানিতে এলসি খোলা বাড়লেও বড় ব্যবধানে কমেছে নিষ্পত্তি।
আমদানিতে এমন বেহাল দশার প্রতিফলন ঘটেছে তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানি আয়েও। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মাসিক প্রতিবেদনের তথ্য, বছর ব্যবধানে রফতানি আয় কমার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে নভেম্বরে এখাতের আয় এসেছে ৩১৪.০৯ কোটি ডলার, গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ কম।
এ বিষয়ে বিটিএমএ’র সহ-সভাপতি সালেউদ জামান খান সময় সংবাদকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন ধরনের নিয়ম-নীতির কারণে আমাদের ক্রেতারা আতঙ্কিত। তাদেরও বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে, কোন নিয়মটা তাদের জন্য প্রয়োগ হবে। নানা কারণে তারা অর্ডারও কম দিচ্ছেন।
তৈরি পোশাক রফতানিতে মন্দার ধাক্কা লেগেছে মোট রফতানি আয়েও। বছর ব্যবধানে সাড়ে ৫ শতাংশের বেশি কমে গেল নভেম্বরে মোট রফতানি আয় এসেছে ৩৮৯.১৬ কোটি ডলার। তবে, জুলাই প্রবৃদ্ধির প্রভাবে ৫ মাসের যোগফলে রফতানি আয় বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ।
বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, সেটার একটা অংশ আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার জন্য তারা চেষ্টা করছেন। আমরা মনে করি, এটা অনৈতিক। আমাদের পক্ষে এটা পরিশোধ করা কোনোভাবেই সম্ভব না।’
বিজিএমইএ’র পরিচালক রশিদ আহমেদ সোহাইনী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে চাপে পড়ে ভারত ও চীন ইউরোপে ঢুকে পড়েছে। ইউরোপে আমাদের যে মার্কেট ছিল, সেখানে তারা প্রায় দখল করে নেয়ার কাছাকাছি চলে গেছেন। তারা সেখানে আমাদের চেয়ে কম দামে অর্ডার নিয়ে নিচ্ছেন।’
পোশাক শিল্পের পতনের মধ্যেও এগিয়ে চলছে চামড়া খাত। নভেম্বরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি আয় এসেছে ৯.৮ কোটি ডলার, যা গেল বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫.১৪ শতাংশ বেশি।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘আগামী দিনে এই পণ্যগুলোসহ আমাদের উদীয়মান অন্য খাতেও আরও বেশি বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানির সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার।’
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক, শতাংশের হিসাবে সুবিধাজনক হলেও বাস্তবতার নিরিখে অসুবিধায় ফেলেছে বাংলাদেশকে। শুল্কের ভারে চাপ বেড়েছে ইউরোপের বাজারেও। এ অবস্থায় রাজনীতিকরাসহ নীতিনির্ধারকদের উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ তাদের।
অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, রফতানির অর্ডার ভাবমূর্তির ওপর নির্ভর করে। আমাদের ক্রেডিট রেটিং কিন্তু বাড়েনি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের চুক্তিও করলাম। এর পরও যদি সেটার ফল না পাই, তাহলে আমাদের নতুন করে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। সেটার জন্য আমি মনে করি, এখন মূল দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের।
রফতানি বাজারে বড় ধরনের পতনের মুখে পড়েছে পাট ও পাটজাত পণ্য, আশা জাগানো হোমটেক্সটাইল ও বাইসাইকেলের রফতানি আয়।
রফতানির জন্য দরকারি পণ্য আমদানিতে ব্যাক টু ব্যাংক এলসি খোলা এবার গেল জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ১৩.৮১ শতাংশ আর এ সময়ে নিষ্পত্তি কমেছে ১.৮৭ শতাংশ। এ সময়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও মধ্যবর্তী পণ্য আমদানিতে এলসি খোলা বাড়লেও বড় ব্যবধানে কমেছে নিষ্পত্তি।
আমদানিতে এমন বেহাল দশার প্রতিফলন ঘটেছে তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানি আয়েও। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মাসিক প্রতিবেদনের তথ্য, বছর ব্যবধানে রফতানি আয় কমার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে নভেম্বরে এখাতের আয় এসেছে ৩১৪.০৯ কোটি ডলার, গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ কম।
এ বিষয়ে বিটিএমএ’র সহ-সভাপতি সালেউদ জামান খান সময় সংবাদকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন ধরনের নিয়ম-নীতির কারণে আমাদের ক্রেতারা আতঙ্কিত। তাদেরও বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে, কোন নিয়মটা তাদের জন্য প্রয়োগ হবে। নানা কারণে তারা অর্ডারও কম দিচ্ছেন।
তৈরি পোশাক রফতানিতে মন্দার ধাক্কা লেগেছে মোট রফতানি আয়েও। বছর ব্যবধানে সাড়ে ৫ শতাংশের বেশি কমে গেল নভেম্বরে মোট রফতানি আয় এসেছে ৩৮৯.১৬ কোটি ডলার। তবে, জুলাই প্রবৃদ্ধির প্রভাবে ৫ মাসের যোগফলে রফতানি আয় বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ।
বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, সেটার একটা অংশ আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার জন্য তারা চেষ্টা করছেন। আমরা মনে করি, এটা অনৈতিক। আমাদের পক্ষে এটা পরিশোধ করা কোনোভাবেই সম্ভব না।’
বিজিএমইএ’র পরিচালক রশিদ আহমেদ সোহাইনী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে চাপে পড়ে ভারত ও চীন ইউরোপে ঢুকে পড়েছে। ইউরোপে আমাদের যে মার্কেট ছিল, সেখানে তারা প্রায় দখল করে নেয়ার কাছাকাছি চলে গেছেন। তারা সেখানে আমাদের চেয়ে কম দামে অর্ডার নিয়ে নিচ্ছেন।’
পোশাক শিল্পের পতনের মধ্যেও এগিয়ে চলছে চামড়া খাত। নভেম্বরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি আয় এসেছে ৯.৮ কোটি ডলার, যা গেল বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫.১৪ শতাংশ বেশি।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘আগামী দিনে এই পণ্যগুলোসহ আমাদের উদীয়মান অন্য খাতেও আরও বেশি বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানির সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার।’
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক, শতাংশের হিসাবে সুবিধাজনক হলেও বাস্তবতার নিরিখে অসুবিধায় ফেলেছে বাংলাদেশকে। শুল্কের ভারে চাপ বেড়েছে ইউরোপের বাজারেও। এ অবস্থায় রাজনীতিকরাসহ নীতিনির্ধারকদের উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ তাদের।
অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, রফতানির অর্ডার ভাবমূর্তির ওপর নির্ভর করে। আমাদের ক্রেডিট রেটিং কিন্তু বাড়েনি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের চুক্তিও করলাম। এর পরও যদি সেটার ফল না পাই, তাহলে আমাদের নতুন করে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। সেটার জন্য আমি মনে করি, এখন মূল দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের।
রফতানি বাজারে বড় ধরনের পতনের মুখে পড়েছে পাট ও পাটজাত পণ্য, আশা জাগানো হোমটেক্সটাইল ও বাইসাইকেলের রফতানি আয়।