রাণীশংকৈলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আটকে দিলেন অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

আপলোড সময় : ০৩-১২-২০২৫ ০৮:৪৬:৪৯ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৩-১২-২০২৫ ০৮:৪৬:৪৯ অপরাহ্ন
যেহেতু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন সেজন্য ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর পরীক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলেও চলে এসেছে এক তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে পরীক্ষা আর এ সময় পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন সহকারী শিক্ষকরা। শুধু তাই নয় ফোনে ডেকে নেওয়া হয় অন্য বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষককেও। অবস্থার বেগতিক দেখে উপজেলা শিক্ষা অফিসে ফোন দেন প্রধান শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। 

বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে স্কুলে  অভিভাবকদের সূত্রে জানা যায়, এই স্কুলের সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার জন্য শিশু শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হতে বলেন। তখন শিক্ষার্থীরা স্কুল চত্তরে বিক্ষোভ করে বলেন আমরা আমাদের শিক্ষক ছাড়া পরীক্ষা দিবো না। এমনকি এ অবস্থায় খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে আসেন থানা পুলিশ।  তখন শিক্ষার্থীরা পুলিশের গাড়িও আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে।

পরে পুলিশ ও শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে না পারলে ফিরে যায় থানা পুলিশ। অভিভাবক ও শিক্ষা কর্মকর্তার সহযোগিতায় পরীক্ষায় বসায় প্রধান শিক্ষক হামিদুর রহমান।  অপরদিকে শিংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী বলেন, আমার স্কুলে পরীক্ষা বন্ধ করার জন্য কিছু শিক্ষক গিয়েছিল আমি তা প্রতিহত করে পরীক্ষা নিয়েছি।

 পথচারী ও অভিভাবকরা সূত্রে জানা যায়, যখনি শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন তখনই উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের ২০-২৫ জনের শিক্ষকদের একটি দল স্কুলে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মোবাইলে ধারণ করতে থাকেন। এমনকি তাদের উৎসাহিত করতে থাকেন তারা। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম। তিনি পরিস্থিতির বিষয়ে বহিরাগত শিক্ষকদের জিজ্ঞেসা করলে তারা বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য পরীক্ষা নেওয়া থেকে বিরত রয়েছি। আর এই স্কুলের শিক্ষকের ম্যাসেজের মাধ্যমে জানতে পারি এ স্কুলে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে এ কথা শুনে আমরা অন্য স্কুলের শিক্ষকরা এ বিদ্যালয়ে এসেছি।

এ বিষয়ে ইউএনও খাদিজা বেগম বলেন, পরীক্ষার বিষয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আপনাদের(শিক্ষকদের) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন।  

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]