লংমার্চে বাধা দেওয়ায় সাঁতরে পদ্মা পার হতে গিয়ে আহত ২

আপলোড সময় : ২০-১১-২০২৫ ১২:৪৮:৩৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২০-১১-২০২৫ ১২:৪৮:৩৪ অপরাহ্ন
ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণসহ ৫ দফা দাবিতে হেঁটে ভোলা থেকে ঢাকা সেতু ভবন অভিমুখে লংমার্চের নবম দিনে প্রায় ২৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় পৌঁছেন শিক্ষার্থীরা।

তবে হেঁটে পদ্মা সেতু পার হওয়ার অনুমতি না মেলায় খরস্রোতা পদ্মা নদী সাঁতরে পাড়ি দিচ্ছেন তারা। এ সময় নদীতে সাঁতার কাটার সময় মো. নোমান ও মো. তানজিল নামে দুই শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এর আগে মো. মাইনুউদ্দিন নামে আরেক জুলাই যোদ্ধা অসুস্থ হয়েছেন।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে যাওয়ার জন্য পদ্মা নদীতে সাঁতার শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।

তাদের ৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ, ভোলার ঘরে ঘরে আবাসিক গ্যাস সংযোগ, গ্যাসভিত্তিক শিল্প কল কারখানা স্থাপন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ।

এদিকে লংমার্চ চলাকালে তাদের দাবি আদায়ে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পাওয়ার অভিযোগে গত ১৪ নভেম্বর বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের গাড়ির সামনে শুয়ে তাদের অবরুদ্ধ রেখে প্রায় ২০ মিনিট বিক্ষোভ করেন ভোলার কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা।

জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ফ্যাশন স্কয়ারের সামনে থেকে প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শুরু হয় লংমার্চ। এরপর তারা হেঁটে ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমোহন ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার ওপর দিয়ে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের পাশ থেকে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার তেঁতুলিয়া নদী সাঁতরে শ্রীপুর গিয়ে ওঠেন। সেখান থেকে ফের হেঁটে কালাবদর ও কীর্তনখোলা নদী সাঁতরে বরিশালের ওপর দিয়ে হেঁটে পদ্মা সেতু এলাকায় পৌঁছায়। লংমার্চটি ঢাকার সেতু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে এবং সেখানেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

লংমার্চে অংশ নেওয়া রাহিম ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ আমাদের হেঁটে সেতু অতিক্রমের অনুমতি দেয়নি, নিরাপত্তাসহ তারা নানা অজুহাত দেখিয়েছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রায় ৬ কিলোমিটার খরস্রোতা পদ্মা নদী পার হয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে গিয়ে উঠব এবং হেঁটেই সেতু ভবনের সামনে যাব।

লংমার্চে অংশ নেওয়া শরীফ হাওলাদার বলেন, আমরা লংমার্চ নিয়ে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। সেতু কর্তৃপক্ষ আমাদের যেতে দেয়নি। তাই আমরা আমাদের জীবন বাজি রেখে পদ্মা নদী সাঁতরে যাচ্ছি। একটা সেতুর দাবিতে নদী সাঁতরে পার হচ্ছি, এটা রাষ্ট্রের জন্য লজ্জার। আমরা রাষ্ট্রের কাছে ভিক্ষা চাই না। আমাদের ভোলাতে যে সম্পদ আছে তা থেকেই আমাদের সেতু করে দেওয়া হোক এবং আমাদের অন্যান্য দাবি পূরণ করুক। আজকে যদি আমাদের একজনেরও কিছু হয় তাহলে দায়ী থাকবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ। আমাদের লংমার্চ চলবে।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]