বিশ্ব ফুটবলে রূপকথা সত্যি করল ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র কুরাসাও। মাত্র ১ লক্ষ ৫৬ হাজার জনসংখ্যার এই ছোট দেশটি ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করল—বিশ্বকাপ ইতিহাসে যোগ্যতা পাওয়া দেশগুলির মধ্যে তারাই ক্ষুদ্রতম। জামাইকার মাঠে শেষ ম্যাচে ০–০ ড্র-ই গতকাল স্বপ্নপূরণের জন্য যথেষ্ট ছিল।
কিংস্টনে ম্যাচ শুরুর আগে সমীকরণ ছিল পরিষ্কার—হারলে বিদায়, ড্র বা জয় মানেই বিশ্বকাপ। চাপের মুখে পুরো ম্যাচেই রক্ষণ আঁটসাঁট। জামাইকার লাগাতার আক্রমণ সামলে শেষ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় এক পয়েন্ট তুলে নেয় কুরসাও। সেই সঙ্গে গ্রুপ বি–র শীর্ষে থেকে ১২ পয়েন্টে বিশ্বকাপ টিকিট নিশ্চিত করে।
এই ফলের সুবাদে আইসল্যান্ডের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে তারা। ২০১৮ বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া আইসল্যান্ডের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৩.৫ লক্ষ—যা কুরাসাওয়ের দ্বিগুণেরও বেশি। তাই বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে ছোট রাষ্ট্র হিসেবে যোগ্যতা অর্জনের কৃতিত্ব এখন কুরাসাওয়ের দখলে।
এর চেয়েও অবাক করা তথ্য—পুরো কোয়ালিফায়িংয়ে একবারও হারেনি তারা। ছয় ম্যাচের অভিযানে ৭–০ ব্যবধানে বারমুডাকে হারানো থেকে শুরু করে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সেই কুরাসাও শেষ পর্যন্ত ইতিহাস গড়ে। শেষ ম্যাচে তাদের কোচ ডিক অ্যাডভোকাট ব্যক্তিগত কারণে নেদারল্যান্ডসে থাকায় ডাগআউটে ছিলেন না, তবুও দলের ছন্দে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
২০১০ সালে নেদারল্যান্ড অ্যান্টিলিস ভেঙে গেলে নতুন পরিচয়ে ফিফা সদস্য হয় কুরাসাও। মাত্র ১৫ বছরের মধ্যে এই সাফল্য তাদের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্জন। আগামী ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসির কেনেডি সেন্টারে বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত হবে—সেখানেই জানা যাবে মূলপর্বের প্রতিপক্ষ কারা।
একই রাতে ইতিহাস গড়েছে হাইতিও। ৫২ বছর পর আবার বিশ্বকাপে ফিরছে দেশটি। উয়িলেমস্ট্যাডে নিকারাগুয়াকে ২–০ হারিয়ে নিশ্চিত হয়েছে গ্রুপ সি–র টিকিট। রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য এই শহরই হাইতির অস্থায়ী হোম ভেন্যু ছিল। ১৯৭৪ সালের পর এটিই তাদের প্রথম বিশ্বকাপ।
অন্যদিকে পানামা আরও একটি দুরন্ত পারফরম্যান্সে দেখিয়ে সালভাদরকে ৩–০ হারাল। যার সুবাদে গ্রুপ এ–তে শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপে জায়গা পাকা। ২০১৮–র পর আবার বিশ্বমঞ্চে ফিরে এল পানামা। সব মিলিয়ে কনকাকাফ অঞ্চলে তিনটি ছোট দেশের এই ঐতিহাসিক যোগ্যতা—কুরাসাও, হাইতি ও পানামা—বিশ্ব ফুটবলে বিরল সাফল্যের নজির হয়ে রইল।
কিংস্টনে ম্যাচ শুরুর আগে সমীকরণ ছিল পরিষ্কার—হারলে বিদায়, ড্র বা জয় মানেই বিশ্বকাপ। চাপের মুখে পুরো ম্যাচেই রক্ষণ আঁটসাঁট। জামাইকার লাগাতার আক্রমণ সামলে শেষ পর্যন্ত প্রয়োজনীয় এক পয়েন্ট তুলে নেয় কুরসাও। সেই সঙ্গে গ্রুপ বি–র শীর্ষে থেকে ১২ পয়েন্টে বিশ্বকাপ টিকিট নিশ্চিত করে।
এই ফলের সুবাদে আইসল্যান্ডের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে তারা। ২০১৮ বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া আইসল্যান্ডের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৩.৫ লক্ষ—যা কুরাসাওয়ের দ্বিগুণেরও বেশি। তাই বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে ছোট রাষ্ট্র হিসেবে যোগ্যতা অর্জনের কৃতিত্ব এখন কুরাসাওয়ের দখলে।
এর চেয়েও অবাক করা তথ্য—পুরো কোয়ালিফায়িংয়ে একবারও হারেনি তারা। ছয় ম্যাচের অভিযানে ৭–০ ব্যবধানে বারমুডাকে হারানো থেকে শুরু করে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সেই কুরাসাও শেষ পর্যন্ত ইতিহাস গড়ে। শেষ ম্যাচে তাদের কোচ ডিক অ্যাডভোকাট ব্যক্তিগত কারণে নেদারল্যান্ডসে থাকায় ডাগআউটে ছিলেন না, তবুও দলের ছন্দে কোনও পরিবর্তন হয়নি।
২০১০ সালে নেদারল্যান্ড অ্যান্টিলিস ভেঙে গেলে নতুন পরিচয়ে ফিফা সদস্য হয় কুরাসাও। মাত্র ১৫ বছরের মধ্যে এই সাফল্য তাদের ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্জন। আগামী ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসির কেনেডি সেন্টারে বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত হবে—সেখানেই জানা যাবে মূলপর্বের প্রতিপক্ষ কারা।
একই রাতে ইতিহাস গড়েছে হাইতিও। ৫২ বছর পর আবার বিশ্বকাপে ফিরছে দেশটি। উয়িলেমস্ট্যাডে নিকারাগুয়াকে ২–০ হারিয়ে নিশ্চিত হয়েছে গ্রুপ সি–র টিকিট। রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য এই শহরই হাইতির অস্থায়ী হোম ভেন্যু ছিল। ১৯৭৪ সালের পর এটিই তাদের প্রথম বিশ্বকাপ।
অন্যদিকে পানামা আরও একটি দুরন্ত পারফরম্যান্সে দেখিয়ে সালভাদরকে ৩–০ হারাল। যার সুবাদে গ্রুপ এ–তে শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপে জায়গা পাকা। ২০১৮–র পর আবার বিশ্বমঞ্চে ফিরে এল পানামা। সব মিলিয়ে কনকাকাফ অঞ্চলে তিনটি ছোট দেশের এই ঐতিহাসিক যোগ্যতা—কুরাসাও, হাইতি ও পানামা—বিশ্ব ফুটবলে বিরল সাফল্যের নজির হয়ে রইল।