স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় মানেই একরাশ স্বতঃস্ফূর্ততা। তাঁর কথা-বার্তা, আচরণ— সবেতেই এক অদ্ভুত সহজাত নির্লিপ্ততা। মনে যা আসে, মুখে তাই বলেন। আর সেই নির্ভিক স্বভাবই তাঁকে বারবার আলাদা করে তোলে।
কিছু দিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এক ছোট্ট সেলফি-ভিডিয়ো যেন ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল, অভিনেত্রী নিজের জীবনে কী ভেতরকার রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। অটোর হেলে-দুলে চলার মধ্যে তোলা সেই ভিডিওতে খোলা চুলে বাতাস, চোখে চেনা কাজল, আর চিবুকে টানা নতুন শার্পনেস— যেন বলছিল অন্য এক গল্প। মনে হচ্ছিল, গত কয়েক মাসে স্বস্তিকা নিজের শরীর আর নিজের ভরসাকে সমান তালে যত্ন করে গড়ে তুলেছেন। তাই অবাক হয়নি নেটিজেনরা। বিস্ময়ে ছুটে এসেছে প্রশ্ন— “এত ওজন কমালে কীভাবে?” এক মহিলা সরল কৌতূহলে লিখেছিলেন, “কীভাবে এত রোগা হলে, স্বস্তিকা?”
স্বস্তিকা থামেননি, লুকোননি, সংকোচও করেননি। বরং উলটো— নিঃশব্দে লড়াই করা ছ’মাসের গল্পটাই তিনি শেয়ার করলেন খোলাখুলি, অকপট ভাষায়।
“হ্যাঁ, ছ’মাস ধরেই কমিয়েছি। রোজ ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের ব্রিস্ক ওয়াক। দিনে মাত্র একবেলা খাবার। রুটি-ভাত-পাউরুটি একেবারে বন্ধ। ভাজাভুজি থেকে দূরে। মিষ্টি বা চকোলেট ছাড়া আমার পক্ষে অসম্ভব— তাই সেগুলো বাদ দিইনি ঠিকই, কিন্তু বাকি সব মেদ-টানা খাবারকে বলেছি না। একটু সময় লাগে, তবে লেগে থাকলে ফল পাওয়া যায়।”
ওয়েট লস সিক্রেট শেয়ার করলেন স্বস্তিকা।
এই স্বীকারোক্তির সরলতায় লুকিয়ে থাকে এক নারীর দৃঢ়তা— আলো-ঝলমলে তারকাজীবনেও নিজের শরীর-মনকে নিয়ন্ত্রণে আনার সংগ্রামী সিদ্ধান্ত। নিজের পথে হাঁটার, নিজেকে গড়ে তোলার এক নিঃশব্দ যাত্রার ফলাফলই যেন আজ দৃশ্যমান।
আর সেই পথের মাঝেই আজ সকাল সকাল নতুন আরেক গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সাধারণ বাঙালি গৃহিণীর মতো স্লিভলেস নাইটি পরে হেসে-খুনসুটি ভরা এক পোস্ট। লিখলেন—“Sending silly photos to chhana and friends. Gariahat এর নাইটি ইস দা বেস্ট.”
একজন মজা করে মন্তব্য করলেন, “ওএমজি, তুমিও নাকি আমাদের মতো গড়িয়াহাটের জিনিস পরো!”
উত্তরে স্বস্তিকা আরও নির্দ্বিধায়, আরও আপন ভঙ্গিতে লিখলেন—“পুরো জীবনটাই গড়িয়াহাট। নাইটি, পেটিকোট, ব্লাউজ, জাঙ্ক গয়না, বেডকভার, পাপোশ— সবই।”
গড়িয়াহাটের সেই বিখ্যাত নাইটি— যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাজারো মেয়ের প্রতিদিনের স্বস্তি, আর পাঁচটা বেলার হাসি। সেই নাইটিতেই স্বস্তিকার এই ছবির মুহূর্ত যেন আরও আপন, আরও জীবন্ত হয়ে উঠল। রেড কার্পেটের ঝলকানি থাক, ক্যামেরার ফোকাস থাক, দিনের শেষে নিজের আরামটাই সত্যি। নিজের হাসিটাই আসল।
কিছু দিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এক ছোট্ট সেলফি-ভিডিয়ো যেন ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল, অভিনেত্রী নিজের জীবনে কী ভেতরকার রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। অটোর হেলে-দুলে চলার মধ্যে তোলা সেই ভিডিওতে খোলা চুলে বাতাস, চোখে চেনা কাজল, আর চিবুকে টানা নতুন শার্পনেস— যেন বলছিল অন্য এক গল্প। মনে হচ্ছিল, গত কয়েক মাসে স্বস্তিকা নিজের শরীর আর নিজের ভরসাকে সমান তালে যত্ন করে গড়ে তুলেছেন। তাই অবাক হয়নি নেটিজেনরা। বিস্ময়ে ছুটে এসেছে প্রশ্ন— “এত ওজন কমালে কীভাবে?” এক মহিলা সরল কৌতূহলে লিখেছিলেন, “কীভাবে এত রোগা হলে, স্বস্তিকা?”
স্বস্তিকা থামেননি, লুকোননি, সংকোচও করেননি। বরং উলটো— নিঃশব্দে লড়াই করা ছ’মাসের গল্পটাই তিনি শেয়ার করলেন খোলাখুলি, অকপট ভাষায়।
“হ্যাঁ, ছ’মাস ধরেই কমিয়েছি। রোজ ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের ব্রিস্ক ওয়াক। দিনে মাত্র একবেলা খাবার। রুটি-ভাত-পাউরুটি একেবারে বন্ধ। ভাজাভুজি থেকে দূরে। মিষ্টি বা চকোলেট ছাড়া আমার পক্ষে অসম্ভব— তাই সেগুলো বাদ দিইনি ঠিকই, কিন্তু বাকি সব মেদ-টানা খাবারকে বলেছি না। একটু সময় লাগে, তবে লেগে থাকলে ফল পাওয়া যায়।”
ওয়েট লস সিক্রেট শেয়ার করলেন স্বস্তিকা।
এই স্বীকারোক্তির সরলতায় লুকিয়ে থাকে এক নারীর দৃঢ়তা— আলো-ঝলমলে তারকাজীবনেও নিজের শরীর-মনকে নিয়ন্ত্রণে আনার সংগ্রামী সিদ্ধান্ত। নিজের পথে হাঁটার, নিজেকে গড়ে তোলার এক নিঃশব্দ যাত্রার ফলাফলই যেন আজ দৃশ্যমান।
আর সেই পথের মাঝেই আজ সকাল সকাল নতুন আরেক গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সাধারণ বাঙালি গৃহিণীর মতো স্লিভলেস নাইটি পরে হেসে-খুনসুটি ভরা এক পোস্ট। লিখলেন—“Sending silly photos to chhana and friends. Gariahat এর নাইটি ইস দা বেস্ট.”
একজন মজা করে মন্তব্য করলেন, “ওএমজি, তুমিও নাকি আমাদের মতো গড়িয়াহাটের জিনিস পরো!”
উত্তরে স্বস্তিকা আরও নির্দ্বিধায়, আরও আপন ভঙ্গিতে লিখলেন—“পুরো জীবনটাই গড়িয়াহাট। নাইটি, পেটিকোট, ব্লাউজ, জাঙ্ক গয়না, বেডকভার, পাপোশ— সবই।”
গড়িয়াহাটের সেই বিখ্যাত নাইটি— যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাজারো মেয়ের প্রতিদিনের স্বস্তি, আর পাঁচটা বেলার হাসি। সেই নাইটিতেই স্বস্তিকার এই ছবির মুহূর্ত যেন আরও আপন, আরও জীবন্ত হয়ে উঠল। রেড কার্পেটের ঝলকানি থাক, ক্যামেরার ফোকাস থাক, দিনের শেষে নিজের আরামটাই সত্যি। নিজের হাসিটাই আসল।