রাজশাহী মহানগরীতে সরকারের খোলা বাজারে বিক্রয় (ওএমএস) কর্মসূচির চার বস্তা চালসহ এক মুদি দোকানিকে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় জনতা ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার রেশমপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আটককৃত দোকানীর নাম কাজল (৬০)। অভিযোগ উঠেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে গোপনে ওএমএসের চাল কিনে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার দুপুরে একটি ভ্যানে করে ৫০ কেজি ওজনের চারটি বস্তা চাল কাজলের দোকানে ঢোকানো হচ্ছিল। এসময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা এগিয়ে যান এবং গণমাধ্যম কর্মীদের খবর দেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাজল ওএমএসের চাল কেনার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি বিষয়টি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) মোঃ মোহন আহম্মেদকে অবগত করলে তিনিও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তবে, ডিসি ফুড প্রাথমিকভাবে চালগুলো ওএমএসের নয় বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, যেহেতু চালের ব্যাগ পরিবর্তন করা হয়েছে, তাই চালের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করে দোকানি এবং সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, আটক দোকানি কাজল গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রথমে ওএমএসের চাল কেনার কথা স্বীকার করে অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে তিনি উল্টো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মামলা দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ সাংবাদিকদের। এক পর্যায়ে স্থানীয় কিছু লোকের সহায়তায় তিনি দোকান থেকে পালিয়ে যান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজলের বিরুদ্ধে এর আগেও টিসিবির পণ্য কালোবাজারি করার অভিযোগ রয়েছে। সে সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করে এবং তার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়।
ঘটনাস্থলে সুমন (৩৫) নামের এক চাল সরবরাহকারী চিৎকার করে বলেন, ডিলাররা তাদের কাছে চাল বিক্রি না করলে তারা কিনতেন না। তিনি বিভিন্ন ওএমএস কেন্দ্র থেকে চাল সংগ্রহ করে বস্তা পরিবর্তন করে কাজলের দোকানে সরবরাহ করতেন।
এসময় মুন্না নামের এক ব্যক্তি নিজেকে রাজশাহী মহানগর ওলামা দলের আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে সুমনকে সাংবাদিকদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেন এবং সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, এ বিষয়ে এসি ল্যান্ড এবং ডিসি ফুডকে জানানো হয়েছে। ডিসি ফুড চালের নমুনা সংগ্রহ করেছেন এবং পরীক্ষা শেষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ ঘটনায় উপস্থিত জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ওএমএসের চাল পাই না। আর অসাধু ডিলাররা সেই চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। তারা এই ঘটনার সাথে জড়িত ডিলারদেরও আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার রেশমপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আটককৃত দোকানীর নাম কাজল (৬০)। অভিযোগ উঠেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে গোপনে ওএমএসের চাল কিনে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার দুপুরে একটি ভ্যানে করে ৫০ কেজি ওজনের চারটি বস্তা চাল কাজলের দোকানে ঢোকানো হচ্ছিল। এসময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা এগিয়ে যান এবং গণমাধ্যম কর্মীদের খবর দেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাজল ওএমএসের চাল কেনার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি বিষয়টি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) মোঃ মোহন আহম্মেদকে অবগত করলে তিনিও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তবে, ডিসি ফুড প্রাথমিকভাবে চালগুলো ওএমএসের নয় বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, যেহেতু চালের ব্যাগ পরিবর্তন করা হয়েছে, তাই চালের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করে দোকানি এবং সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, আটক দোকানি কাজল গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রথমে ওএমএসের চাল কেনার কথা স্বীকার করে অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে তিনি উল্টো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মামলা দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ সাংবাদিকদের। এক পর্যায়ে স্থানীয় কিছু লোকের সহায়তায় তিনি দোকান থেকে পালিয়ে যান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজলের বিরুদ্ধে এর আগেও টিসিবির পণ্য কালোবাজারি করার অভিযোগ রয়েছে। সে সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করে এবং তার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়।
ঘটনাস্থলে সুমন (৩৫) নামের এক চাল সরবরাহকারী চিৎকার করে বলেন, ডিলাররা তাদের কাছে চাল বিক্রি না করলে তারা কিনতেন না। তিনি বিভিন্ন ওএমএস কেন্দ্র থেকে চাল সংগ্রহ করে বস্তা পরিবর্তন করে কাজলের দোকানে সরবরাহ করতেন।
এসময় মুন্না নামের এক ব্যক্তি নিজেকে রাজশাহী মহানগর ওলামা দলের আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে সুমনকে সাংবাদিকদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেন এবং সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, এ বিষয়ে এসি ল্যান্ড এবং ডিসি ফুডকে জানানো হয়েছে। ডিসি ফুড চালের নমুনা সংগ্রহ করেছেন এবং পরীক্ষা শেষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ ঘটনায় উপস্থিত জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ওএমএসের চাল পাই না। আর অসাধু ডিলাররা সেই চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। তারা এই ঘটনার সাথে জড়িত ডিলারদেরও আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।