রাজশাহীতে বিচারকপুত্র তাওসিফ রহমান হত্যা ও তাঁর মা তাসমিন নাহার লুসীর ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত লিমন মিয়ার পুলিশ হেফাজতে দেওয়া বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) চার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান এ নির্দেশ জারি করেন। বরখাস্ত হওয়া চারজন হলেন—এসআই আবু শাহাদাত, কনস্টেবল আব্দুস সবুর, মাহফুজার রহমান ও মিঠু সরদার। তারা সবাই রাজপাড়া থানায় কর্মরত ছিলেন। বরখাস্তের পর তাদের পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার গাজিউর রহমান জানান, “দায়িত্ব পালনেও অবহেলা ও প্রটোকল ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।”
ঘটনার পটভূমি
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে নবম শ্রেণির ছাত্র তাওসিফ রহমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই হামলায় গুরুতর আহত হন তাঁর মা তাসমিন নাহার লুসী। ধস্তাধস্তিতে হামলাকারী লিমন মিয়াও আহত হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর পুলিশ হেফাজতে নেয়।
হেফাজতে নেওয়ার পর লিমন এক টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে বিস্তারিত বক্তব্য দেন, যা পরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় পুলিশি তৎপরতা ও নিরাপত্তা প্রটোকল নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
আদালতের নির্দেশ
হেফাজতে থাকা আসামির বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার বিষয়টি নজরে আসায় রাজশাহীর আদালত আরএমপি কমিশনারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। আগামী ১৯ নভেম্বর তাকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে এ ঘটনায় আদালত অভিযুক্ত লিমনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।