পদ্মার চরে খড় কাটাকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী খুনের ঘটনার পর এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নিচখানপুর গ্রামে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কাঁকন বাহিনীর সশস্ত্র হামলার ভয়ে অনেক পরিবার গ্রামছাড়া হয়েছে এবং রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। এই নিরাপত্তা সংকটের কারণে পদ্মার চরে প্রায় হাজার বিঘা জমির চাষাবাদ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে, যা স্থানীয় কৃষকদের জীবন-জীবিকার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) নিচখানপুর গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে কথা বললে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির চিত্র ফুটে ওঠে। আতঙ্কের কারণে অনেকেই গণমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন। গ্রামের দোকানপাট প্রায় ক্রেতাশূন্য, থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। মুদি দোকানি আমিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকে মানুষের মনে ভয়
ঢুকে গেছে। আবার কখন হামলা হয়, এই আশঙ্কায় কেউ ঘর থেকে বের হতে চায় না।
গত ২৭ অক্টোবর দুপুরে নিচখানপুর গ্রামের নাজমুল মন্ডল ও আমান মন্ডলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর পরদিন ২৮ অক্টোবর ঘটনাস্থলের কাছ থেকে লিটন নামের আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যার বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও মূল হোতারা এখনও অধরা।
নিহত নাজমুলের স্ত্রী সামেনা খাতুন দুই শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে বিলাপ করতে করতে বলেন, আমার স্বামী তো কোনো অপরাধ করেনি। চরে একজনকে গুলি করা হয়েছে শুনে তাকে বাঁচাতে গিয়েছিল, সেখানেই তাকে গুলি করে মারা হলো। আমার ছোট ছোট মেয়েরা সারাক্ষণ বাবাকে খোঁজে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মুনতাজ মন্ডলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার স্ত্রী নার্গিস বেগম জানান, তার স্বামীর শরীরে প্রায় ১৫০টি গুলি লেগেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঘা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, কুষ্টিয়া সংলগ্ন হবির চরে প্রায় ১ হাজার বিঘা জমিতে ধান, গম, ভুট্টা, বাদাম এবং বিভিন্ন ডাল জাতীয় ফসলের আবাদ হয়, যার ওপর নিচখানপুরবাসী নির্ভরশীল। কিন্তু গোলাগুলির ঘটনার পর থেকে ভয়ে কেউ চরে যাচ্ছে না। ফলে হাজার হাজার বিঘা জমি অনাবাদী পড়ে আছে।
ভুক্তভোগীরা আরও অভিযোগ করেন, কাঁকন বাহিনী গণমাধ্যমে কথা বলার কারণে অনেককে টিকটকে মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এই ভয়ে অনেকেই মুখ ঢেকে কথা বলছেন। বানেরা বেগম নামে এক নারী বলেন, ওরা (কাঁকন বাহিনী) যদি মুখ চিনে রাখে, তাহলে আমার স্বামী-সন্তানের ওপর হামলা করবে।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাম্মী আক্তার জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা নিরাপত্তাহীনতার কথা জানালে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোলাইমান বলেন, এ মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যিনি কাঁকন বাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
তবে একজন গ্রেফতার হলেও নিচখানপুরবাসীর আতঙ্ক কাটছে না। হামলা ও হুমকির মুখে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে।
কাঁকন বাহিনীর সশস্ত্র হামলার ভয়ে অনেক পরিবার গ্রামছাড়া হয়েছে এবং রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। এই নিরাপত্তা সংকটের কারণে পদ্মার চরে প্রায় হাজার বিঘা জমির চাষাবাদ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে, যা স্থানীয় কৃষকদের জীবন-জীবিকার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) নিচখানপুর গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে কথা বললে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির চিত্র ফুটে ওঠে। আতঙ্কের কারণে অনেকেই গণমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন। গ্রামের দোকানপাট প্রায় ক্রেতাশূন্য, থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। মুদি দোকানি আমিরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকে মানুষের মনে ভয়
ঢুকে গেছে। আবার কখন হামলা হয়, এই আশঙ্কায় কেউ ঘর থেকে বের হতে চায় না।
গত ২৭ অক্টোবর দুপুরে নিচখানপুর গ্রামের নাজমুল মন্ডল ও আমান মন্ডলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর পরদিন ২৮ অক্টোবর ঘটনাস্থলের কাছ থেকে লিটন নামের আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যার বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও মূল হোতারা এখনও অধরা।
নিহত নাজমুলের স্ত্রী সামেনা খাতুন দুই শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে বিলাপ করতে করতে বলেন, আমার স্বামী তো কোনো অপরাধ করেনি। চরে একজনকে গুলি করা হয়েছে শুনে তাকে বাঁচাতে গিয়েছিল, সেখানেই তাকে গুলি করে মারা হলো। আমার ছোট ছোট মেয়েরা সারাক্ষণ বাবাকে খোঁজে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মুনতাজ মন্ডলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার স্ত্রী নার্গিস বেগম জানান, তার স্বামীর শরীরে প্রায় ১৫০টি গুলি লেগেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঘা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, কুষ্টিয়া সংলগ্ন হবির চরে প্রায় ১ হাজার বিঘা জমিতে ধান, গম, ভুট্টা, বাদাম এবং বিভিন্ন ডাল জাতীয় ফসলের আবাদ হয়, যার ওপর নিচখানপুরবাসী নির্ভরশীল। কিন্তু গোলাগুলির ঘটনার পর থেকে ভয়ে কেউ চরে যাচ্ছে না। ফলে হাজার হাজার বিঘা জমি অনাবাদী পড়ে আছে।
ভুক্তভোগীরা আরও অভিযোগ করেন, কাঁকন বাহিনী গণমাধ্যমে কথা বলার কারণে অনেককে টিকটকে মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এই ভয়ে অনেকেই মুখ ঢেকে কথা বলছেন। বানেরা বেগম নামে এক নারী বলেন, ওরা (কাঁকন বাহিনী) যদি মুখ চিনে রাখে, তাহলে আমার স্বামী-সন্তানের ওপর হামলা করবে।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাম্মী আক্তার জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা নিরাপত্তাহীনতার কথা জানালে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোলাইমান বলেন, এ মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যিনি কাঁকন বাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
তবে একজন গ্রেফতার হলেও নিচখানপুরবাসীর আতঙ্ক কাটছে না। হামলা ও হুমকির মুখে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে।