আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যের ভুল ছিল বলে স্বীকার হাসিনার !

আপলোড সময় : ০৭-১১-২০২৫ ০৭:২৪:৫৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৭-১১-২০২৫ ০৭:২৪:৫৪ অপরাহ্ন
প্রায় ১৫ মাস পর নীরবতা ভেঙে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুলাই ২০২৪-এর কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় হওয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন। ভারতে নির্বাসিত জীবন কাটানোর সময় এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন। আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ তিনি সরাসরি অস্বীকার করলেও, মোকাবিলায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্যের ভুল হয়েছিল বলে স্বীকার করেছেন।

২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়, যা পরে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। ব্যাপক সহিংসতার মুখে ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন এবং ভারতে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে তিনি সেখানেই থাকছেন। সম্প্রতি, দিল্লির নির্বাসন থেকে তিনি একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে ইমেলের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার কাছে তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে দায়ের হওয়া একাধিক মামলা, বিশেষ করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে তিনি সমস্ত অভিযোগ স্পষ্টভাবে অস্বীকার করে বলেন, "আমি জনতার বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলাম এই দাবির সমর্থনে কোনও প্ররোচনামূলক প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। তিনি এই মামলাগুলোকে "ক্যাঙ্গারু কোর্টের" বিচার বলে অভিহিত করেছেন, যা তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

মুজিবকন্যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, এই অভিযোগগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (ICC) মতো কোনো নিরপেক্ষ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হোক, যেখানে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন এবং ন্যায্য বিচার হতে পারে। তার দাবি, ইউনূস সরকার তা করবে না কারণ তারা জানে সেখানে তারা বিচার প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

যদিও তিনি ব্যক্তিগতভাবে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগকে "ভিত্তিহীন" বলে উড়িয়ে দিয়েছেন, হাসিনা স্বীকার করেছেন যে সহিংসতা মোকাবিলার ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্যের ভুল হতে পারে। তিনি বলেন, সহিংসতা মোকাবিলায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্য অবশ্যই ভুল করেছেন...আমি কোনও সময়েই নিরাপত্তা বাহিনীকে জনতার উপর গুলি চালানোর অনুমতি দেননি।

আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে হাসিনা বলেন, ঢাকার সহিংস পরিস্থিতি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির মধ্যে সরকারের পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রাণহানি কমানো এবং সংবিধান রক্ষা করা। তিনি আরও জানান, প্রথম মৃত্যুর ঘটনার পরেই তার সরকার একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল, কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে সেই তদন্ত কমিশনকে ভেঙে দেয়।

এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাসিনা জানিয়েছিলেন যে, তার দল আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়ায় লক্ষ লক্ষ সমর্থক ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন বর্জন করবে। যদিও পরে অন্য এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করেন যে তিনি সরাসরি বর্জনের ডাক দেননি, তবে তার দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন বৈধ হবে না বলে মন্তব্য করেন। ভারতে থাকাকালীন তিনি ভারতীয় জনগণের প্রতি তাকে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]