প্রকৃতির এক আশ্চর্য ও রহস্যময় প্রাণী। গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষার দিনে গ্রামের মাঠে, ঝোপে বা ঘাসের ফাঁকে হঠাৎই দেখা মেলে এদের। কিন্তু শীত নামলেই যেন হাওয়ায় মিলিয়ে যায় তারা! অনেকের মনে প্রশ্ন সাপেরা কি শীতে মরে যায়, নাকি কোথাও ঘুমিয়ে থাকে?
শীতের সময় সাপেরা নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে মাটির গর্ত, পাথরের ফাঁক, গাছের শেকড়ের নিচে বা পরিত্যক্ত গুহায়। সেখানে তারা সপ্তাহের পর সপ্তাহ, এমনকি কখনও কয়েক মাস পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। কিছু ক্ষেত্রে, একাধিক সাপ একসঙ্গে জড়ো হয়ে শরীরের তাপ ধরে রাখে।
অনেকেই বলেন, “সাপ ঘুমোয় না, কারণ তাদের চোখ সবসময় খোলা থাকে।” আসলে, সাপের চোখে চোখের পাতা নেই। তাদের চোখে থাকে একটি স্বচ্ছ স্তর বা spectacle scale, যা ধুলোবালি বা আঘাত থেকে চোখকে রক্ষা করে। তাই ঘুমের সময়ও তাদের চোখ খোলা মনে হয়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সাপেরও ঘুমের চক্র রয়েছে। ঘুমের সময় তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস ধীর হয়ে যায়, দেহ সম্পূর্ণ স্থির থাকে, এমনকি আলো বা শব্দেও সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখায় না।
গ্রীষ্মকালে: প্রচণ্ড গরমে তারা দিনের বেলায় গর্ত বা ছায়ায় লুকিয়ে থাকে। সূর্যের তাপ এড়াতে সাধারণত রাতে সক্রিয় হয়। দিনে প্রায় ১০–১২ ঘণ্টা বিশ্রাম নেয়।
বর্ষাকালে: বাতাসে আর্দ্রতা ও ঠান্ডা বাড়লে তারা বেশি সক্রিয় হয়, কারণ তখন খাদ্য সহজলভ্য থাকে। দিনে অল্প বিশ্রাম নিয়ে রাতেই বেশি চলাফেরা করে।
শীতকালে: ঠান্ডা পড়লেই তারা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। টানা ২–৩ মাস, কখনও তারও বেশি সময়, না খেয়ে ও না পান করে ঘুমিয়ে থাকে। এ সময় তাদের হৃদস্পন্দন ও হজম প্রক্রিয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
সাধারণভাবে সাপ প্রতিদিন ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিশ্রাম নেয়। কিন্তু শীতকালে এই সময়সীমা বেড়ে কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। মরুভূমিতে বসবাসকারী কিছু প্রজাতি আবার উল্টো আচরণ করে—তারা গ্রীষ্মের অতিরিক্ত গরমে যায় গ্রীষ্মনিদ্রায় (Aestivation)।
ঘুমের সময় অনেক সাপ ত্বক পরিবর্তনের প্রক্রিয়াও (Shedding) শুরু করে, আর ঘুম ভেঙে পুরোপুরি সক্রিয় হতে সময় নেয় কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত।
বিশ্বজুড়ে সাপের প্রজাতি রয়েছে তিন হাজারেরও বেশি। শুধু ভারতেই পাওয়া যায় প্রায় ৬৯টি অতি বিষাক্ত প্রজাতি যার মধ্যে ৪০টি স্থলচর ও ২৯টি সামুদ্রিক। কিং কোবরা, ক্রেইট, ভাইপার, ব্ল্যাক মাম্বা প্রভৃতি বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপের তালিকায় শীর্ষে।
প্রকৃতির এই নিঃশব্দ শিকারিদের জীবনচক্র তাই ঋতুর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। শীতের ঘুম শেষে আবারও তারা ফিরবে উষ্ণ রোদে জীবনচক্রের অনন্ত ধারায়।
শীতের সময় সাপেরা নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে মাটির গর্ত, পাথরের ফাঁক, গাছের শেকড়ের নিচে বা পরিত্যক্ত গুহায়। সেখানে তারা সপ্তাহের পর সপ্তাহ, এমনকি কখনও কয়েক মাস পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। কিছু ক্ষেত্রে, একাধিক সাপ একসঙ্গে জড়ো হয়ে শরীরের তাপ ধরে রাখে।
অনেকেই বলেন, “সাপ ঘুমোয় না, কারণ তাদের চোখ সবসময় খোলা থাকে।” আসলে, সাপের চোখে চোখের পাতা নেই। তাদের চোখে থাকে একটি স্বচ্ছ স্তর বা spectacle scale, যা ধুলোবালি বা আঘাত থেকে চোখকে রক্ষা করে। তাই ঘুমের সময়ও তাদের চোখ খোলা মনে হয়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সাপেরও ঘুমের চক্র রয়েছে। ঘুমের সময় তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস ধীর হয়ে যায়, দেহ সম্পূর্ণ স্থির থাকে, এমনকি আলো বা শব্দেও সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখায় না।
গ্রীষ্মকালে: প্রচণ্ড গরমে তারা দিনের বেলায় গর্ত বা ছায়ায় লুকিয়ে থাকে। সূর্যের তাপ এড়াতে সাধারণত রাতে সক্রিয় হয়। দিনে প্রায় ১০–১২ ঘণ্টা বিশ্রাম নেয়।
বর্ষাকালে: বাতাসে আর্দ্রতা ও ঠান্ডা বাড়লে তারা বেশি সক্রিয় হয়, কারণ তখন খাদ্য সহজলভ্য থাকে। দিনে অল্প বিশ্রাম নিয়ে রাতেই বেশি চলাফেরা করে।
শীতকালে: ঠান্ডা পড়লেই তারা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। টানা ২–৩ মাস, কখনও তারও বেশি সময়, না খেয়ে ও না পান করে ঘুমিয়ে থাকে। এ সময় তাদের হৃদস্পন্দন ও হজম প্রক্রিয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
সাধারণভাবে সাপ প্রতিদিন ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিশ্রাম নেয়। কিন্তু শীতকালে এই সময়সীমা বেড়ে কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। মরুভূমিতে বসবাসকারী কিছু প্রজাতি আবার উল্টো আচরণ করে—তারা গ্রীষ্মের অতিরিক্ত গরমে যায় গ্রীষ্মনিদ্রায় (Aestivation)।
ঘুমের সময় অনেক সাপ ত্বক পরিবর্তনের প্রক্রিয়াও (Shedding) শুরু করে, আর ঘুম ভেঙে পুরোপুরি সক্রিয় হতে সময় নেয় কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত।
বিশ্বজুড়ে সাপের প্রজাতি রয়েছে তিন হাজারেরও বেশি। শুধু ভারতেই পাওয়া যায় প্রায় ৬৯টি অতি বিষাক্ত প্রজাতি যার মধ্যে ৪০টি স্থলচর ও ২৯টি সামুদ্রিক। কিং কোবরা, ক্রেইট, ভাইপার, ব্ল্যাক মাম্বা প্রভৃতি বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপের তালিকায় শীর্ষে।
প্রকৃতির এই নিঃশব্দ শিকারিদের জীবনচক্র তাই ঋতুর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। শীতের ঘুম শেষে আবারও তারা ফিরবে উষ্ণ রোদে জীবনচক্রের অনন্ত ধারায়।