রাজশাহী মহানগরীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে দরজা বন্ধ করে আশিক নামের এক যুবক ও পুচি ও পৃতি নামের দুই বোনকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন গারোয়ানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন: আশিক ইসলাম (১৮), মৃত ঈমান আলীর ছেলে; পৃতি (৩০) ও পুচি (৩৫), তারা একই এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের মেয়ে। বর্তমানে আশিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী আশিক অভিযোগ করেন, সকালে তার বন্ধু শাওন (২০) পাখি ধরার অজুহাতে তাকে বাড়িতে ডেকে নেয়। “বাড়িতে ঢুকতেই শাওন পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে দরজা বন্ধ করে ফেলে। এরপর আলামিন (৩০) আমাকে চেপে ধরে রাখে এবং শাওনের বাবা শাহাবা (৬০) রড দিয়ে আমার পা ও ঘাড়ে আঘাত করতে শুরু করে,” বলেন আশিক।
তিনি আরও জানান, “অভি (২৯) বাঁশ দিয়ে আমার মাথা ও বুকে আঘাত করে। এসময় আমি প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার করলে শাওনের মা রুমা ও মিনি বড়মা আমার মুখে ওড়না চেপে ধরেন।”
এসময় আশিকের বোন পুচি ও পৃতি ভাইকে বাঁচাতে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। পুচি বলেন, “আমরা ভাইকে বাঁচাতে গেলে মীর আশরাফ আমাদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে পৃতিকে স্ট্যাম্প দিয়ে এলোপাথারিভাবে মারধর করা হয়, এতে তার মাথা ফেটে যায়।”
প্রত্যক্ষদর্শী শ্যামল নামের এক স্থানীয় জানান, “চিৎকার শুনে আমরা ছুটে যাই। দেখি দরজা বন্ধ, ভেতর থেকে আর্তচিৎকার। পরে দরজা ভেঙে ঢুকে দেখি আশিক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, আর শাহাবা, শাওন, অভি ও আলামিন তাকে মারধর করছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “অভিযুক্তরা রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মীর ইকবালের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। বিএনপি সমর্থক পরিবার হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিশোধের অংশ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেছেন, ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়; ব্যক্তিগত বিরোধ থেকেই এ সংঘর্ষের সূত্রপাত।
ভুক্তভোগী পরিবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের হস্তক্ষেপ দাবি করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ঘটনার পর থেকে শাহাবা, শাওন, অভি, আলামিন ও মীর আশরাফ পলাতক বলে জানা গেছে। আহত আশিকের অবস্থা গুরুতর হলেও তিনি বর্তমানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
এলাকাবাসী বলছেন, স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের শত্রুতামূলক সহিংসতা ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
আহতরা হলেন: আশিক ইসলাম (১৮), মৃত ঈমান আলীর ছেলে; পৃতি (৩০) ও পুচি (৩৫), তারা একই এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের মেয়ে। বর্তমানে আশিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী আশিক অভিযোগ করেন, সকালে তার বন্ধু শাওন (২০) পাখি ধরার অজুহাতে তাকে বাড়িতে ডেকে নেয়। “বাড়িতে ঢুকতেই শাওন পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে দরজা বন্ধ করে ফেলে। এরপর আলামিন (৩০) আমাকে চেপে ধরে রাখে এবং শাওনের বাবা শাহাবা (৬০) রড দিয়ে আমার পা ও ঘাড়ে আঘাত করতে শুরু করে,” বলেন আশিক।
তিনি আরও জানান, “অভি (২৯) বাঁশ দিয়ে আমার মাথা ও বুকে আঘাত করে। এসময় আমি প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার করলে শাওনের মা রুমা ও মিনি বড়মা আমার মুখে ওড়না চেপে ধরেন।”
এসময় আশিকের বোন পুচি ও পৃতি ভাইকে বাঁচাতে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। পুচি বলেন, “আমরা ভাইকে বাঁচাতে গেলে মীর আশরাফ আমাদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে পৃতিকে স্ট্যাম্প দিয়ে এলোপাথারিভাবে মারধর করা হয়, এতে তার মাথা ফেটে যায়।”
প্রত্যক্ষদর্শী শ্যামল নামের এক স্থানীয় জানান, “চিৎকার শুনে আমরা ছুটে যাই। দেখি দরজা বন্ধ, ভেতর থেকে আর্তচিৎকার। পরে দরজা ভেঙে ঢুকে দেখি আশিক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, আর শাহাবা, শাওন, অভি ও আলামিন তাকে মারধর করছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “অভিযুক্তরা রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মীর ইকবালের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। বিএনপি সমর্থক পরিবার হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিশোধের অংশ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেছেন, ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়; ব্যক্তিগত বিরোধ থেকেই এ সংঘর্ষের সূত্রপাত।
ভুক্তভোগী পরিবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের হস্তক্ষেপ দাবি করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ঘটনার পর থেকে শাহাবা, শাওন, অভি, আলামিন ও মীর আশরাফ পলাতক বলে জানা গেছে। আহত আশিকের অবস্থা গুরুতর হলেও তিনি বর্তমানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
এলাকাবাসী বলছেন, স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের শত্রুতামূলক সহিংসতা ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।