রাজশাহীর পদ্মার চরে জোড়া খুনের মামলার অন্যতম আসামী কাকন বহিনীর কাকনসহ হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবি জানিয়েছেন নিহত ও আহতদের পরিবার। শুক্রবার বাঘার খানপুর বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা এ দাবি জানান। মানববন্ধনে এলাকাবাসীও অংশ নিয়ে হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেন।
মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে মামলার বাদী মিনহাজ মন্ডল বলেন, কাকন বাহিনী ও তাদের লোকজন প্রকাশ্যে নদী পথে অস্ত্রের মহাড়া দিচ্ছে। তাদের অবিলম্বে আইনের আওতাই নেওয়ার দাবি জানান তিনি। মানববন্ধনের বক্তারা বলেন, কাকন বাহিনীর ফসল লুটের প্রতিবাদ করতে গিয়ে গত বছর গুলিতে আহত হয়েছিল খানপুর গ্রামের সাহাবুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, রাজশাহীর বাঘা, নাটোরের লালপুর এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর পদ্মা চরের আতঙ্ক এখন কাঁকন বাহিনী। চরের জমি ও বালুমহল দখল, চাঁদাবাজি আর হামলার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তিন জেলার তিন উপজেলার মানুষ। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত বাঘা উপডজেলার চরাঞ্চলবাসী। মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে চরে অস্ত্রের মহড়া বন্ধ করতে কাকনবাহীনির সদস্য সন্ত্রীদের গ্রেফতার দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে নিহত আমান মন্ডলের স্ত্রী আসমা বেগম এবং নাজমুলের স্ত্রী শারমিন অংশ নেন। তারা দৌলতপুরের কাকন বাহিনী ও তাদের সহযোগী সকল খুনিদের অবিলম্বে বিচারের দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বাঘার খানপুর পদ্মানদীর চরে জমি ও খড় দখলকে কেন্দ্র করে গুলি চালিয়েছে কাকন বাহিনীর সদস্যরা। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হলেও ঘটনার দিন নিহত হন আমান এবং নাজমুল। অপর দুইজন মুনতাজ এবং রাকিব এখনো চিকিৎসাধিন।